প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর চিন্তাকে দলীয় গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। আধুনিক চীনের রূপকার হিসেবে স্বীকৃত মাও সে তুং-এর পর শি জিনপিং হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় যার চিন্তা দলীয় গঠনতন্ত্রে মতাদর্শের মর্যাদা পেল। মতাদর্শের মর্যাদা পাওয়ায় মাও-এর মতবাদ যেমন মাওবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়, শি’র চিন্তাধারাও বিবেচিত হবে শি-বাদ হিসেবে। এর বিরুদ্ধে যে কোনও চ্যালেঞ্জ এখন থেকে কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধের অবস্থান বলে বিবেচিত হবে।
এক সপ্তাহে আগে শুরু হওয়া চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে দুই হাজারের বেশি প্রতিনিধি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশ ‘কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন’-এর শেষ দিনে তার চিন্তাধারাকে পার্টির গঠনতন্ত্রে স্থান দেওয়ার ব্যাপারে ভোটাভুটি হয়। বেইজিং এর গ্রেট হলে চূড়ান্ত এ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন কমিউনিস্ট পার্টির ২ হাজার ২০০ প্রতিনিধি। সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দলীয় গঠনতন্ত্রে স্থান পাওয়ার পর মাও-এর সমান্তরালে ক্ষমতাবান হলেন শি।
কংগ্রেসের শুরুতে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিন ঘন্টা ভাষণ দেন শি। ওই ভাষণে প্রথমবারের মতো ‘নতুন যুগের চীনা পদ্ধতির সমাজতন্ত্র’ সংক্রান্ত শি জিনপিং-এর চিন্তাধারা’ নামে নিজের মতামত তুলে ধরেন তিনি। পরে পার্টির এক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘কংগ্রেস দ্ব্যর্থহীনভাবে শি জিনপিং-এর চিন্তাধারাকে দলীয় গঠনতন্ত্রের মূলনীতি অংশে স্থান দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে’।
এর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দুই নেতার চিন্তাধারা পার্টির গঠনতন্ত্রে তাদের নামসহ মতবাদ আকারে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এদের একজন মাও সে তুং। অপরজন দেং শিয়াও পিং। মাও ক্ষমতাসীন থাকাকালেই গঠনতন্ত্রে স্থান পেলেও দেং শিয়াও পিংয়ের মৃত্যুর পর তার চিন্তাধারা নামযুক্ত অবস্থায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্রে মতাদর্শের মর্যাদা পায়।