মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও চলমান উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছেন। শুক্রবার তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণ ও সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডকে ইরানের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছে বাহরাইন। তবে বাহরাইনের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
ইয়েমেন ও লেবানন নিয়ে সুন্নি শাসিত সৌদি আরব ও শিয়া শাসিত ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা গত কয়েকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে আসছে। এর মধ্যেই বাহরাইন পাইপলাইন বিস্ফোরণে ইরানকে দায়ী করল।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশগুলোর একটি বাহরাইন। দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর অবস্থান করছে। সুন্নি মুসলমান দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে শাসিত বাহরাইনে শিয়া সম্প্রদায় প্রতিবাদ ও সহিংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। দেশটিতে শিয়া মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেলের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ছিল নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং ভয়াবহ সন্ত্রাসী কাজ। যা দেশের জনগণের সুরক্ষা ও সর্বোচ্চ স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-খলিফা বলেন, দেশের সম্প্রতি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে তা ইরানের সরাসরি যোগাযোগ ও নির্দেশনার ভিত্তিতে হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাহরাইনে তেল সরবরাহ করা বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিজেদের স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় বাহরাইনে শিয়াদের বিক্ষোভ দমন করে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র ও বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। মানামা এসব হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করে আসছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান। সূত্র: রয়টার্স।