মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ইরানকে ‘গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়ে সৌদি আরবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার তেহরানকে রুখতে রিয়াদের সঙ্গে পারস্পরিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের পরিকল্পনার কথা জানান ইসরায়েলি সেনাপ্রধান। খ্যাতনামা সৌদি সংবাদমাধ্যম এলাফকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল গাদি এইসেঙ্কট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সাক্ষাৎকারটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
আল জাজিরা এলাফ-কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিরবৈরী দুই দেশের আঞ্চলিক বৈরিতায় সৌদিকে খুব কাছ থেকে সহযোগিতা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান। কাতারভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যম বলছে, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক কোনও সম্পর্ক না থাকায় এই সাক্ষাৎকারটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে ইসরায়েলের সেনাসূত্র সাক্ষাৎকারটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সাক্ষাৎকারে এইসেঙ্কট ইরানের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার রোধে এখনই ইরানকে থামাতে হবে মত দিয়েছেন তিনি।
আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকারটির ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন জেরুজালেম পোস্টের সামরিক প্রতিনিধি। আন্না আহরোনহেইম নামের ওই প্রতিনিধি জানান, তেল আবিবে ইসরায়েলি দ্রুজ সাংবাদিক সাক্ষাৎকারটি নেন। এইসেঙ্কট কোনও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন না উল্লেখ করে আহরোনহেইম বলেছেন, ‘এটা তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার। নিশ্চয় এইসেঙ্কটের জন্য বিরাট পদক্ষেপ।’
আহরোনহেইম বলেছেন, বিষয়টি অদ্ভুত হলেও দুটি দেশ ইরানের ব্যাপারে খুব কাছ থেকে একসঙ্গে একে অপরকে সহযোগিতা করবে। ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আভাস দিলেও এখনই ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লেবাননে হামলা চালাবেন না সাক্ষাৎকারে জানান এইসেঙ্কট।
এ বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরবকে। গত জুনে, ইসরায়েলের ইন্টেলিজেন্স এন্ড ট্রান্সপোর্টেশন মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছিলেন, পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে রিয়াদে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানান সৌদির রাজা সালমান। কাৎজ আরও বলেছিলেন, রাজা সালমানেরও উচিত তার ছেলে মোহাম্মেদ বিন সালমানকে তেল আবিবে পাঠানো। অবশ্য এএফপির এক খবর বলছে, সেপ্টেম্বরে তেল আবিবে এক গোপন সফরে গিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।