X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমিরাত ও ইসরায়েল ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র’

বিদেশ ডেস্ক
১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৩০আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৩২
image

‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল ভাইয়ের মতো। আর যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ‘বড় ভাই’-এর মতো; যারা আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে কোনও মতপার্থক্যের বিষয়টি দেখতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস রিপোর্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।

সৌদি জেনারেল
পাইলট আবদুল্লাহ আল হাশমি নামের ওই কর্মকর্তা আমিরাতি সামরিক বাহিনীর স্টাফ মেজর জেনারেল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল হাশমি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ আমিরাত শুধু তাদের মিত্রই হতে চায় না; বরং কৌশলগত মিত্র হতে চায়। দুই দেশের সম্পর্ক উভয় পক্ষের জন্যই খুবই ইতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। কেননা আমিরাতের সক্ষমতা বাড়ানোর মানে হচ্ছে আদতে যুক্তরাষ্ট্রেরই সক্ষমতা বাড়ানো। আমিরাতের সামরিক সক্ষমতা কোনওভাবেই ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয়।

ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বা প্যালেস্টাইনের যে দ্বন্দ্ব তা নিয়ে কোনও সমাধান থাকলে সেটা আলোচনার টেবিলে আসতে পারে। আমি মনে করি না যে, আমরা ইসরায়েলের জন্য হুমকি কিংবা ইসরায়েল আমাদের জন্য হুমকি। কেননা, আমরা এটা উপলব্ধি করি যে, আমরা যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র; এটা ইসরায়েলের জন্যও প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় ভাইয়ের মতো।

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের প্রভাব বেড়েছে। আমিরাত ছাড়াও অন্যান্য আরব দেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ইরানকে ‘গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়ে সৌদি আরবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তেল আবিব। তেহরানকে রুখতে সৌদি-ইসরায়েল পারস্পরিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের পরিকল্পনার কথাও জানান ইসরায়েলি সেনাপ্রধান।

এ বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরবকে। গত জুনে, ইসরায়েলের ইন্টেলিজেন্স এন্ড ট্রান্সপোর্টেশন মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে রিয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুলআজিজ। রাজা সালমানেরও উচিত তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে তেল আবিবে পাঠানো। অবশ্য এএফপির এক প্রতিবেদনের উঠে এসেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ইসরায়েল সফর করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

 

 

/এমপি/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
সর্বাধিক পঠিত
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?