X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রান্সে হারিরির কাছে বকেয়া বেতন চাইলেন কয়েকশ কর্মচারী

বিদেশ ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৮আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৪২

 

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি শনিবার ফ্রান্সের পৌঁছার পর তার কাছে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন কয়েকশ কর্মী। তারা হারিরি মালিকানাধীন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘সৌদি ওজার’-এর  কর্মী। তবে এখনও বকেয়া পরিশোধ করেননি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী। পাওনা পরিশোধের বিষয়টি আরও বিলম্বিত হতে পারে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হারিরি

রিয়াদ সফরকালে ৪ নভেম্বর হারিরি পদত্যাগের ঘোষণা দিলে সৌদি আরব ও লেবাননের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর দেশে না ফিরলেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে দেশটিতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে কর্মীদের পাওনার বিষয়টি সৌদি আরব ও লেবাননের দ্বৈত নাগরিক হারিরিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।

সৌদি ওজারের চাকরিচ্যুত ৭৫ জন কর্মীর পক্ষে মামলা চালানো আইনজীবী ক্যারোলাইন ওয়াসারম্যান শুক্রবার বলেন, ‘ফ্রান্সের কর্মীদের লাখ লাখ টাকার পাওনা পরিশোধ না করলেও তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি। তার ও তার পরিবারের লোকেরা ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।’  ওই প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের কাছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ইউরো দেনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

ফ্রান্স২৪ সংবাদমাধ্যমকে ওই আইনজীবী জানান, বিষয়টি  নিয়ে শ্রম আদালতে অনেকগুলো মামলা চলছে। তিনি বলেন, ‘এসব কর্মীর সঙ্গে ফরাসি আইন অনুযায়ী চুক্তি করা হয়েছে আর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ও ইল দ্য ফ্রান্সে অবস্থিত।  তাই এখানকার আদালতেই মামলার মীমাংসা হবে।’ 

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ফ্রান্স সফরকালে লেবাননের এই ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক আলোচনায় বিষয়টি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। 

শনিবার হারিরির সঙ্গে আলোচনার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে জানানো হয়, ফ্রান্সের কর্মীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সৌদি ওজার কর্তৃপক্ষও কর্মীদের বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। এর ফলে এ দফায় তাদের পাওনা আদায়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো।

উল্লেখ্য, হারিরি ও তার পরিবারের সঙ্গে সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় সৌদি ওজার বেশ লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। কিন্তু হঠাৎ তেলের দাম কমে যাওয়া ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উত্থানের পর সব এলোমেলো হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটি প্রচুর লোকসানের মুখে পড়ে। তহবিল খালি হয়ে যাওয়ায় ৩০টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার কর্মীর বেতন দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

 

 

 

/আরএ/এএ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
বাংলাদেশকে ‘সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ দেশ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে ‘সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ দেশ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও কমলো সোনার দাম  
আরও কমলো সোনার দাম  
 ১ পদে ২৩৮ জনকে চাকরি দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
 ১ পদে ২৩৮ জনকে চাকরি দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না