মিয়ানমারে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তাদের রাখাইন ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রাখাইনে সেনা অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ আখ্যায়িত করার মার্কিন কর্মকর্তারা বিক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বুধবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ আনেন টিলারসন। যদিও সম্প্রতি মিয়ানমার সফরে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলেননি তিনি।
এক বিবৃতিতে টিলারসন বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের সতর্ক বিশ্লেষণের পর স্পষ্ট যে, রাখাইনে রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার। কোনও উস্কানির কথা বলে এই নৃশংস নিপীড়নকে জায়েজ করা যায় না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এই নিপীড়নে যারা জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চলমান সংকটের সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে উভয় দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। যার ফলে চীন ও রাশিয়ার আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠতে পারে মিয়ানমার।
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার। এ অভিযানের পর ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ এনেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে, রোহিঙ্গারা মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই প্রভাবশালী সদস্য চীন ও রাশিয়া। সূত্র: রয়টার্স।