X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাখাইনে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার আহ্বান

বিদেশ ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৩৬আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:১১
image

মিয়ানমারের মংডু, বুথিয়াং ও রাথেডংয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখার জন্য পার্লামেন্টে আহ্বান জানিয়েছেন রাখাইনের প্রাদেশিক আইনপ্রণেতারা। সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

  রাখাইনে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার আহ্বান

প্রতিবেদনে বলা হয়, সময়সাপেক্ষ এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সবকিছু রাখাইনের পার্লামেন্টের কাছে স্বচ্ছ করার প্রস্তাব দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। উ মং ওহন নামে একজন আইনপ্রণেতা বলেন, ‘সরকার আমাদের এই পরিকল্পনা নিয়ে কিছুই জানায়নি। আমরা শুনেছি মংডুতে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা প্রাদেশিক পার্লামেন্ট কিছুই জানিনা ‘  

এরপর মংক্রুর আইনপ্রণেতা উ কিয়াও উইনও এমন প্রস্তাব জানিয়েছেন। প্রাদেশিক পার্লামেন্ট প্রস্তাবটি গ্রহণ করে শুক্রবার আলোচনা করতে চেয়েছে। কিয়াও উইন বলেন, ‘রাখাইন সরকারকে অবশ্যই মংডুর পুনর্বাসন পরিকল্পনার আমাদের কাছে দায়িত্বের সঙ্গে স্পষ্ট করতে হবে।’

তিনি কোনোরকম ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ না দেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান। এসময় তিনি রাখাইনের ম্রাকুর বিমানবন্দর প্রকল্পের উদাহরণ টেনে আনেন। উ থেইন সেন সরকার এই পরিকল্পনা দিলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

রাখাইনের ন্যাশনাল টেরিটরি ইন দ্য ওয়েস্টার্ন বর্ডারের এনসিলারি কমিটি ফর রিকন্সট্রাকশনের সচিব উ থান তুন বলেন, রাখাইনে সরকারের কোনও পদক্ষেপই এখন সন্তোষজনক নয়। আমার মনে হয় সরকার শুধু রোহিঙ্গাদের নিয়েই চিন্তা করছে। তিনি জানান, সরকার আরকানবাসীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের পুনর্বাসন কিংবা ফসলের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি তারা।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযযজ্ঞ চালঅনো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও একে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছে।

রাখাইনের আইনপ্রণেতারা জানান মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরাকানবাসীও। তাদেরও ফসল ধ্বংস হয়েছে এবং পালাতে বাধ্য হয়েছেন। ১১ নভেম্বর সিত্তেতে এক হিন্দু শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শনে গিয়ে রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী উ নি পু বলেছিলেন, মংডুতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।

ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচি রাখাইনে মানবিক সহায়তা, পুনর্বাসন ও উন্নয়নের জন্য একটি ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ গঠন করেছেন।  রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্প্রতি ছয় বার প্রস্তাব-পাল্টা প্রস্তাব চালাচালি হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয় ২৩ সেপ্টেম্বর এবং মিয়ানমার ইউনিয়ন মন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময়ে গত ২ অক্টোবর ফের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়। মিয়ানমার গত ২০ অক্টোবর এর জবাব দিলে বাংলাদেশ পুনরায় ২ নভেম্বর পাল্টা প্রস্তাব দেয়। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬ নভেম্বর পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হলে বাংলাদেশ তার দু’দিন পর জবাব দেয়।

দুই মাস ধরে চলা আলোচনার মাধ্যমে ওই সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। ২২ নভেম্বর সকালে নেপিদোতে উভয় দেশের কর্মকর্তরা খসড়া সমঝোতাটির ব্যাপারে একমত হন। স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতায় তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

 

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সমস্যা: নিরাপত্তা পরিষদে নিজের অবস্থান তুলে ধরলো বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া দিলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা
ফেরত যাবেন মিয়ানমারের ১৮০ সেনা, ফিরবেন ১৭০ বাংলাদেশি
সর্বশেষ খবর
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
রাজশাহীতে বইছে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
রাজশাহীতে বইছে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ