X
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে সহিংসতায় নিহত ৬৭০০ জনের মধ্যে ৭৩০ জনই শিশু

বিদেশ ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৯

 

 

 

চলতি বছর আগস্টে রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর কমপক্ষে ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে মিয়ানমার। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুই রয়েছে অন্তত ৭৩০ জন। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস-এর (এমএসএফ) পরিচালিত এক জরিপভিত্তিক অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।  তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রোহিঙ্গা শিশু

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের মুখে ‍উঠে আসে সেনাসদস্যদের বর্বরতার কথা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে। একে নিধনযজ্ঞ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রও। এবার এমএসএফ নামের সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ‘ব্যাপক সহিংসতার স্পষ্ট ইঙ্গিত’ এটি।

এমএসএফ'এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট থেকে ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জরিপে বলা হয়, ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে মারা যায়। এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭'শ মৃত্যুর কারণ সহিংসতা, যার মধ্যে পাঁচ অথবা তার চেয়ে কম বয়সের শিশু ছিল ৭৩০ জন।

তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতের সংখ্যা ৪০০ যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আরাকান সন্ত্রাসী।

এমএসএফের মতে, ৬৯ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে গুলিতে। ৯ শতাংশ রোহিঙ্গা মারা গেছেন আগুনে পুড়ে। আর পিটিয়ে মারা হয়েছে ৫ শতাংশ রোহিঙ্গাকে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুরাও রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, ১৫ শতাংশকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে আর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৭ শতাংশ শিশুকে। ২ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে স্থলমাইন বিস্ফোরণে।

এমএসএএফের মেডিক্যাল পরিচালক সিডনি ওং বলেন,  এই সংখ্যা আসলে আমাদের ধারণা মাত্র। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন একটি হিসেবে দাঁড় করাতে পেরেছি।  এমনকি সব রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হয়নি। এছাড়া সব পরিবার পালিয়ে আসার সুযোগও পায়নি। অনেক পরিবারের সবাই রোহিঙ্গা সেনাদের হাতে খুন হয়েছেন।

সিডনি ওং শরণার্থী ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে ‘সময়োপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।  এমন পরিকল্পনা করার আগে তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাযিত জাতি হিসেবে অভিহিত করেছে। ২০১২ সালে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার পর থেকেই সেখানে আক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

/আরএ/
সম্পর্কিত
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষে ঝুঁকছে পাকিস্তান
এই বর্ষায় নির্ধারিত হবে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীদের পরিণতি?
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
কৃষ্ণচূড়ার লালে সেজেছে নগরী (ফটো স্টোরি)
কৃষ্ণচূড়ার লালে সেজেছে নগরী (ফটো স্টোরি)
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় সিইউজের নিন্দা
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় সিইউজের নিন্দা
সরকারের সব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশে গরিব থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশে গরিব থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
রিমান্ড শেষে কারাগারে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক
রিমান্ড শেষে কারাগারে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক
সর্বাধিক পঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান ভুল লিখলো সওজ, চলছে সমালোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান ভুল লিখলো সওজ, চলছে সমালোচনা
৫ জনকে হারিয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান সেই সুইটি
৫ জনকে হারিয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান সেই সুইটি
দেশের ব্যাংকগুলো ধ্বংস হচ্ছে, তার উদাহরণ এনআরবিসি: জিএম কাদের
দেশের ব্যাংকগুলো ধ্বংস হচ্ছে, তার উদাহরণ এনআরবিসি: জিএম কাদের
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিকনীতি পরিবর্তন করবে ইরান
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিকনীতি পরিবর্তন করবে ইরান
রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র চাইলেন জেলেনস্কি
রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র চাইলেন জেলেনস্কি