রাশিয়ার হুমকির পরও ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণায় রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কোন্নয়নের পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কারণ এর ফলে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী ও রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সংঘাতকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি জানায় রাশিয়া।
২০১৪ সাল থেকে দেশটিতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১০ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভূ-খণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় এবং আগ্রাসন ঠেকাতে দেশটির দীর্ঘ মেয়াদি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে আমাদের সহায়তা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মার্কিন সহযোগিতা সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক। এ ব্যাপারে আমরা সব সময় বলে আসছি যে, ইউক্রেন হচ্ছে একটি সার্বভৌম দেশ এবং এক্ষেত্রে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের অগ্রগতির উপায় হিসেবে মিনস্ক চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ ঘোষণার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এবিসি’র খবরে বলা হয়, অত্যাধুনিক জাভেলিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মোট ৪৭ লাখ ডলারের এ প্রতিরক্ষা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ২১০ টি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩৫ টি লাঞ্চার বিক্রয়।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ইউক্রেনকে নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা। সূত্র: এএফপি।