X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা হত্যায় মিয়ানমারের স্বীকারোক্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’: যুক্তরাষ্ট্র

বিদেশ ডেস্ক
১১ জানুয়ারি ২০১৮, ২১:৪৩আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ২১:৪৬

 

মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে দেশটির সেনাপ্রধানের দেওয়া স্বীকারোক্তিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েল। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েল

বুধবার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং জানান, ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাখাইনের ইন দীন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় চার সেনা সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। তিনি জানান, ওই সদস্যরা ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’দের হত্যায় সহযোগিতা করেছিলেন। হত্যার পর তড়িঘড়ি তাদের মাটিচাপা দেওয়া হলে ২০ ডিসেম্বর সেসব মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনে সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী ও রিপোর্টারদের একটি ফোরামে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার সময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ১০ ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে সেনাবাহিনীর স্বীকারোক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মার্কিন দূত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার নিন্দাও জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য রয়েছে যে, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যাপক হারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে।

স্কট আশা প্রকাশ করেন, সামরিক বাহিনীর ইন দীনের ঘটনায় সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে এই স্বীকারোক্তি আরও খোলাখুলি হতে সহযোগিতা করবে। আর তা নিপীড়নের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও সহায়তা করবে।

স্কট আরও বলেন, আশা করি এর পর আরও স্বচ্ছতার মাধ্যমে দায়ীদের খুঁজে বের করা হবে। আমি এটার প্রতি জোর দেব। শুধু যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এটা করতে হবে তা নয় বরং এটা মিয়ানমারের গণতন্ত্রকেও সুসংহত করবে।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরসা'র সদস্যরা। জবাবে ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। স্থানীয় বৌদ্ধদের সহায়তায় সেখানে বহু বাসিন্দাকে হত্যা ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ত্রাণ সংস্থাগুলোর হিসাবে এই পর্যন্ত অভিযানের কারণে প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে জাতিগত নিধনের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছে।

 

/জেজে/এএ/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
সর্বশেষ খবর
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়