জয়নাবের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে কাসুর শহর ঘুরে এসেছেন সংবাদকর্মী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যান ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহম খান। পাঞ্জাব প্রদেশের শিশুদের ওপর ধারাবাহিক যৌন নিপীড়ন রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। অবিলম্বে কাসুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাঞ্জাব সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
গত ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কোরআন ক্লাসে শেষে বাসায় ফেরার পথে পাঞ্জাবের কাসুর শহর থেকে ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে অপহরণ করা হয়। ওই সময় বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে থাকায় খালার কাছে ছিল সে। পরে ৯ জানুয়ারি এক পুলিশ সদস্য শাহবাজ খান রোডে আবর্জনার স্তূপ থেকে জয়নাবের মরদেহ উদ্ধার করেন। ময়না তদন্তে দেখা গেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে। ১১ জানুয়ারি এই ঘটনার প্রথম সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পাঞ্জাব পুলিশ। ওই ফুটেজে এক ব্যক্তিকে এক শিশুর হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায়। পুলিশ দাবি করে, সেটি ছিলো শিশু জয়নাবকে দেখা যাওয়ার শেষ মুহুর্ত।
শনিবার কাসুরে জয়নাবের পরিবারের সদস্যদের দেখা করেন রেহম খান। পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিশু জয়নাবের হত্যার জন্য দায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সর্বাত্মক অভিযান চালানো উচিত। সংবাদমাধ্যম আর রাজনৈতিক নেতাদের এই হৃদয়বিদারক ঘটনার রাজনীতি না করে এই ইস্যুতে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান রেহম। ‘অপরাধীদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে যাতে করে আর কেউ খারাপ দৃষ্টি নিয়ে আমাদের শিশুদের দিকে তাকাতে না পারে।’ বলেন রেহম খান।
পাকিস্তানে জয়নাবের ধর্ষক ও হত্যাকারীকে ধরতে লাহোর হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়েছে। পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত তাকে আটকের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে প্রকৃত অপরাধী। পৃথক অভিযানে পাকিস্তানের চারটি সংস্থা বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও জয়নাব হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে শনিবার হত্যাকাণ্ডের সময়কার দ্বিতীয় সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ফুটেজের সঙ্গে নতুন করে জনসম্মুখে আসা সিসিটিভি ফুটেজের অনেক পার্থক্য থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।