সাইবার নিরাপত্তাসহ ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত ও ইসরায়েল। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী জানান, কৃষি থেকে শুরু করে প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে জ্বালানি, সিনেমা ও বিমান চলাচল নিয়ে। এর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসদমন নিয়েও একযোগে কাজ করতে রাজি হয়েছে ভারত ও ইসরায়েল।
ভারত-ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। কূটনৈতিক সম্পর্কের রজত জয়ন্তীতে রবিবার ছয়দিনের ভারত সফর শুরু করেন নেতানিয়াহু। রবিবার মোদি ও নেতানিয়াহু নয়াদিল্লির তিন মূর্তি চকের নতুন নামকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে এর নতুন নামকরণ হয়েছে তিন মূর্তি হাফিয়া চক। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইসরায়েলের শহর হাফিয়া রক্ষা করতে গিয়ে নিহত ৪৪ ভারতীয় সেনার স্মরণে এই স্থাপনা নির্মিত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানায়, সোমবার বৈঠকের সময় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি। আর মোদিকে ‘বিপ্লবী’ নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। তার মতে, মোদির জন্য ভারতে বিল্পব ঘটেছে। একইসঙ্গে দুদেশের সম্পর্কেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে একটি রোড শোতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইতে যাওয়ার কথা আছে তার। সেখানে বলিউড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাত করে ইসরায়েলে চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য আহ্বান জানাবেন নেতানিয়াহু।
গত ১৫ বছরে এই প্রথম কোনও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করছেন। এর আগে ২০০৩ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন প্রথম ভারত সফর করেন। সে সময়েও ভারতের ক্ষমতায় ছিলো ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।