কাতারের যুদ্ধ বিমান আমিরাতের বেসামরিক বিমান চলাচলে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিনা অনুমতিতে আমিরাতের সামরিক বিমান কাতারের আকাশসীমায় প্রবেশের অভিযোগ উঠার পর পাল্টা এ অভিযোগ আনলো আমিরাত। এ নিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে।
কাতার সরকারের যোগাযোগ দফতরের পরিচালক শেখ সাইফ বিন আহমেদ আল থানী তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে আমিরাতের অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে দাবি করেছেন।
এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করে কাতার। দোহা’র অভিযোগ, আমিরাতের সামরিক বিমান কাতারের আকাশসীমায় এক মিনিট ধরে অবস্থান করেছে। তবে আমিরাত ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। এ সময় সৌদি জোট কাতারে সামরিক আগ্রাসন চালানো বা সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুর্কি পার্লামেন্টের অনুমতি নিয়ে কাতারের তুর্কি সামরিক ঘাঁটিতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। ওই ঘাঁটিতে ৫ হাজার সেনা অবস্থান করতে পারেন। এর মধ্যেই নতুন করে কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত।