X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝড়ো মৌসুমে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু: ইউনিসেফ

বিদেশ ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৫৬আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:১২
image

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ও মৌসুমী ঋতুতে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বেইগবিদারের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রিলিফওয়েব।

রোহিঙ্গা শিশু এডোয়ার্ড বেইগবিদার বলেন, ‘ইতোমধ্যে সৃষ্ট ভয়ানক মানবিক পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় ও মৌসুমী ঋতুতে আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে। কয়েক লাখ শিশু ভয়ঙ্কর পরিবেশে বাস করছে। সামনে বন্যা, রোগ, ভূমিধস ও আমার বিতাড়িত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনিরাপদ খাবার পানি, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও দুর্বল স্বাস্থ্যবিধির কারণে কলেরা ও হেপাটাইটিস-ই’র প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। এসব রোগে গর্ভবতী নারী ও তাদের সন্তানের মৃত্যু হতে পারে। সেখানে জমে থাকা পানিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার বিস্তারও ঘটতে পারে। শিশুদের এসব রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। একে নিধনযজ্ঞ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রও।

পালিয়ে আসার রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। নানারকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। শরণার্থী শিবিরে প্রায় চার হাজার ব্যক্তি ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ২৪ শিশুসহ ৩২ জন মারা গেছে। ইউনিসেফ ও সহযোগীরা ডিপথেরিয়ার টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। শিশু ও পরিবারগুলোকে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার আওতায় আনার চেষ্টা করছে তারা। তবে অতিরিক্ত ভীড় ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখানে রোগের ঝুঁকি আবারও বেড়ে গেছে।

রিলিফ ওয়েবের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কার পাশাপাশি মৌসুমী ঋতুতে বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। এতে শিশুদের জীবনের সরাসরি ঝুঁকি তৈরি হয়। এমনকি মৌসুমের আগে সামান্য ঝড়ও সেখানে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মার্চে মৌসুমী ঋতু শুরু হওয়ার আগে তাই প্রস্তুতির জন্য খু্ব কম সময়ই পাওয়া যাবে বলে মনে করে ইউনিসেফ।

বাংলাদেশে সাধারণত দুই মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন জলোচ্ছাস হয়ে থাকে। মার্চ থেকে জুলাই ও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। তবে সবচেয়ে বেশি ঝড় হয় মে ও অক্টোবর মাসে। গত বছরের মে মাসে এই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অনেক ঘর ধ্বংস হয়ে যায়। আহত হয় অনেক মানুষ।

এছাড়াও জুন মাসে বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ভূমিধস ও বন্যা দেখা দিতে পারে। এমন ঝড় বা বন্যায় শরণার্থীদের বাসস্থান, পানি ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ও অবকাঠামোগত সুবিধা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

/আরএ/এমএইচ/
সম্পর্কিত
উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
সর্বশেষ খবর
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা