মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এক সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধপূর্ণ রাখাইনে মঙ্গলবার রাতে বৌদ্ধ আরাকানের রাজ্যের সমাপনী বার্ষিকীর এক উৎসবে জড়ো হয়েছিল স্থানীয়রা। সরকারি ভবন ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভটি সহিংস হয়ে ওঠে। রাখাইন প্রদেশের মন্ত্রী তিন মং সোয়ে বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনোরকম অনুমোদন না নিয়েই সবাই জড়ো হতে পারে। প্রায় ৪ হাজার মানুষ বার্ষিক এই উৎসব শেষে সরকারি ভবনে চলে আসে।
মিয়ানমারে ১৩৫টি স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। অনেকদিন ধরেই সেখানে বিরোধপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের সম্মিলিত প্রয়াসে রোহিঙ্গা নিধনের আলামত মিলেছে এরইমধ্যে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। এমন সময় রাখাইনে বৌদ্ধদের বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠল। মতিন মং সোয়ে দাবি করেন, ‘প্রথমে পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করলেও কেউ যায়নি। অনেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেছে। এরপর গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে তারা।’
স্থানীয় এমপি তুন থের সেইন বলেন, কয়েকজন আহত বিক্ষোভকারীকে রাজধানী সিতেতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে। একে নিধনযজ্ঞ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রও।