জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র সহায়তা তহবিলে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা) সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে বেলজিয়াম। ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য কাজ করা সংস্থাটিতে মার্কিন বরাদ্দ অর্ধেকে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়ার একদিনের মাথায় বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হলো। দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডে ক্রু এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরটি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনিদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-তে বরাদ্দকৃত সহায়তার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে ফেলার ঘোষণা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। জানানো হয়, ফিলিস্তিনিদের জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও এইবার সেই বরাদ্দ কমিয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। আর এর একদিন পর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলজিয়ামের উপ প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডে ক্রু এক বিবৃতিতে জানান, তার দেশের পক্ষ থেকে ইউএনআরডব্লিউএ’র তহবিলে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। তিন বছরে এই বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে যে ধরনের আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে প্রথম বর্ষের অনুদানের অর্থ প্রদান করা হবে। ডি ক্রু আরও জানান, ইউএনআরডব্লিউএ এর কমিশনার জেনারেলের সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অনেক ফিলিস্তিনি শরণার্থীর জন্য ইউএনআরডব্লিউএ জীবনের শেষ অবলম্বন। ইউএনআরডব্লিউএ এর সহায়তা নিয়ে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি শিশু স্কুলে যেতে পারছে। উগ্রপন্থা ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়া থেকে তাদের বিরত রাখতে পারছে।’
২০১৬ সালে ইউএনআরডব্লিউএ-তে ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই বছরও এমনটা করার কথা ছিল। তবে ২ জানুয়ারি ট্রাম্পের এক টুইট পরিস্থিতি অন্যরকম হওয়ার আভাস দেয়। টুইটে শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন,‘আমরা ফিলিস্তিনিদের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করি। কিন্তু তারা আমাদের যথাযথ সম্মান দেয় না। ফিলিস্তিনিরা শান্তি আলোচনা করতে চায় না। তাহলে আমাদের তাদের সাহায্য করার কী দরকার।?’
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ-তে সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্কও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইউএনআরডব্লিউএ-তে সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ দ্বিরাষ্ট্র সমাধান প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হবে।’