কাবুলের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তালেবানের হামলায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজন মার্কিন নাগরিকও রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তা নির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা বলেননি। নামও প্রকাশ করতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা। পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানা হয়, হামলায় হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
শনিবার রাত নয়টার দিকে ওই হোটেলের রান্নাঘর দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায় বন্দুকধারীরা। গ্রেনেড বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক পর্যায়ে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে হোটেলের ছাদে গিয়ে নামেন। তাদের অভিযানে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। এছাড়া সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলটি রাষ্ট্রায়ত্ব হোটেল। এতে বিয়ে, কনফারেন্স আর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়ে থাকে। ২০১১ সালেও তালেবান হামলার লক্ষ্য হয় হোটেলটি। সে সময় নয় আক্রমণকারীসহ ২১ জন নিহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কাবুলের হোটেলগুলোর বিষয়ে সতর্কতা জারির একদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের জারি করা ওই সতর্কতায় কাবুলের আরেকটি হোটেলের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কাবুলের হোটেলগুলোতে হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি।
নিহতদের মধ্যে মার্কিন নাগরিক আছে বলেও শোনা যাচ্ছে এখন। হামলার পর তালেবানের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়। জঙ্গি গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালিয়েছে।