রাশিয়াকে মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রে বৈচিত্র্যতা আনা এবং নতুন ধরনের ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের নীতি নির্ধারণী নথি বলে পরিচিত নিউক্লিয়ার পসচার রিভিউয়ে (এনপিআর) এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
এনপিআর-এ বলা হয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনী রাশিয়াকে মোকাবিলায় উদ্বিগ্ন কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র আকারে অনেক বড়। ফলে তা ব্যবহার করা সমস্যাজনক। যার অর্থ এসব অস্ত্র এখন আর আগের মতো কার্যকর না। ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা প্রস্তুত করা গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে এনপিআর যুক্তি তুলে ধরেছে।
আকারে ছোট ও কম ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বোমার শক্তি থাকে ২০ কিলোটনের কম। যদিও এই বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ভয়াবহ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপানের নাগাসাকি শহরে একই ধরনের বিস্ফোরণ ক্ষমতার পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তাতেই ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যতোই সীমিত হোক না কেন পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিষয়টা যাতে রাশিয়া অনুধাবন করতে পারে তা নিশ্চিত করবে আমাদের কৌশল।
ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান জানান, পারমাণবিক অস্ত্র দেশটিকে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে সুরক্ষিত রেখেছে। আমরা সেটাকে অকার্যকর হতে দিতে পারি না।
২০১০ সালের পর এই প্রথম মার্কিন সেনাবাহিনী ভবিষ্যতে পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির কথা প্রকাশ করলো। প্রস্তাবিত কৌশলগত পারমাণবিক বোমা দেশটির অস্ত্রাগারের আকার বৃদ্ধি করবে না। কিন্তু এতে করে এখন যেসব পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে সেগুলো স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে।
এনপিআর-এ উত্তর কোরিয়া, চীন ও ইরানকে হোয়াইট হাউসের উদ্বেগের কথাও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে।