দিল্লিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন অরুণ মারওয়াহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করেছেন। পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
অরুণ মারওয়াহকে আটক করা হয়েছিল গত ৩১ জানুয়ারি। শুক্রবার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মারওয়াহর বিরুদ্ধে অভিযোগটি ‘প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তার’ আইন অনু্যায়ী থানায় নথিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখার কমিশনার এমএম ওবেরয়। অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
৫১ বছর বয়সী মারওয়াহর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি হোয়াটসঅ্যাপে একজন ‘নারী’ পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাছে বিমান বাহিনীর গোপন তথ্য পাঠিয়েছেন। ওই সন্দেহভাজন ‘নারী’ পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে অভিযুক্ত বিমান বাহিনী কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে ইন্টারনেটে। প্রথমে ফেসবুকে পরে হোয়াটসঅ্যাপে তারা অতি ব্যক্তিগত বার্তা আদান প্রদান করেন।
পুলিশ মনে করছে, আইএসআই অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কাজ উদ্ধার করে নিয়েছে। গোপন তথ্যের বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে আবেদনময়ী ছবি পাওয়ার বদলে মারওয়াহ তথ্য পাচার করেছেন। ‘বন্ধুর’ দাবি মোতাবেক তিনি বিমান বাহিনীর স্পর্শকাতর স্থানের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে দিয়েছিলেন। হোয়াটঅ্যাপে যার সঙ্গে অভিযুক্তের বার্তা আদান প্রদান হয়েছে তিনি আদতে নারী না-ও হতে পারেন। ভুয়া প্রোফাইল ব্যবহার করে আইএসআই-এর কোনও পুরুষ সদস্যও তাকে ফাঁদে ফেলে থাকতে পারে।