অক্সফামের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় সংস্থাটির শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিতে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় এই পদত্যাগ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানান মিনি। তিনি বলেন, এই অভিযোগে তিনি আতঙ্কিত।
সম্প্রতি হাইতির ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় কাজের সময় নারীদের যৌনকাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে অক্সফামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার সংস্থাটির জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল কমানোরও হুমকি দিয়েছে।
গুড উইল হান্টিং খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, তিনি অক্সফামের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছেন। আর্থ-সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন তিনি।
মিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনও সংস্থাকে আমার নীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেবো না। আমি বিশ্বের নিপীড়ত মানুষের পক্ষে কাজ করবো।’
এরপর এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, আমি অক্সফামের ঘটনায় ভেঙে পড়েছি। ৯ বছর বয়স থেকে আমি তাদের জন্য সচেতনতা তৈরির কাজ করছি।
অক্সফামের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সফল করেছেন মিনি।
শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অক্সফামের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোল্যান্ড ভ্যান হুওয়ার মেরিনের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনেন। অক্সফামেরই একটি গোপন তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে খবরে জানানো হয়, ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্প পীড়িত নারীদের যৌন কাজে ব্যবহার করেছেন মেরিন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের দিয়েও একই কাজ করিয়ে নিয়েছেন তিনি। শাদের একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
অক্সফামের দেওয়া দলিলপত্রাদি পরীক্ষার মাধ্যমে তদন্ত কাজ শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি কমিশন। তদন্তকারীরা বলেছেন, অক্সফাম সম্ভবত ২০১১ সালের অভিযোগের বিষয়ে পূর্ণ ও খোলাখুলিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করেছে ও জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর তা কতখানি প্রভাব ফেলবে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি।