জার্মানির মিউনিখে চলমান নিরাপত্তা সম্মেলনে একটি ড্রোন বিমানের ধ্বংসাবশেষ হাতে হাজির হয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ড্রোন বিমানটি ইরান ইসরায়েলে পাঠিয়েছিল দাবি করে তিনি দেশটির কঠোর সমালোচনা করেন। ইরানকে ‘বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েল তার আশেপাশের অঞ্চলে ইরানকে নাক গলাতে দিবে না।
বক্তব্যে নেতানিয়াহু ২০১৫ সালে করা ইরানের পরমাণু চুক্তিকে ১৯৩৮ সালে জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য করা মিউনিখ চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ওই চুক্তির মাধ্যমে ‘বিপজ্জনক ইরানি বাঘকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।’ সম্মেলনে ইরানের প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জাফরিকে মিথ্যাবাদী বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি তাকে ‘ইরান সরকারের সুন্দর মুখপাত্র, যিনি গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারেন’ বলে অভিহিত করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সীমান্তে সেনাবাহিনীর গুলিতে বিধ্বস্ত হওয়া ড্রোন বিমানটি যে তারাই পাঠিয়েছে তা মিথ্যাচার করে অস্বীকার করেছে ইরান।’ একটি ধ্বংসাবশেষ হাতে তুলে ধরে জাফরিকে লক্ষ্য করে তিনি সরাসরি বলেন, ‘আপনি এটা চিনতে পারছেন? আপনার পারা উচিত। এটা আপনাদেরই। আমাদের পরীক্ষা করবেন না!’
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল ও ইরানি সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার পর এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একটি ইরানি ড্রোন বিমান সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত অতিক্রম করেছে অভিযোগ করে ইসরায়েল। একই দিন সিরিয়ায় ইরানি সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই সময় সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের একটি এফ-১৬ বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। বলা হচ্ছে, ২০০৬ সালের পর এই প্রথমবারের মতো কোনও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলো। এরপর থেকে নেতানিয়াহু বলে আসছেন, ইরান নির্লজ্জভাবে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে। তবে ইসরায়েল নিজেই তাদের প্রতিহত করতে পারবে।