দুই ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তর লন্ডনের ক্যামডেন এলাকায় ছুরিকাঘাতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। সম্প্রতি বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলায় ছুরি দিয়ে হামলার প্রবণতা বেড়েছে। নতুন এই প্রবণতাকে ‘নাইফ ক্রাইম’ নামে ডাকা হয়। দুই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনার মধ্যে সংযোগের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে হামলার সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক আছে কিনা, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বার্থোলোমিউ রোডে ছুরিকাঘাতের পর নিহত হয় এক কিশোর। এর দুই ঘণ্টা পর মালডেন রোড এলাকায় পুলিশ ডাকা হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মারাত্মক আহত অবস্থায় এক ছুরিকাহত ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়া হলেও ২০ বছরের তরুণটিকে বাঁচানো যায়নি।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দুই ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ওই ঘটনা অনুসন্ধানে জরুরি তদন্ত শুরু হয়েছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মরদেহ দুটির পরিচয় শনাক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। দুটি ঘটনায় আলাদা হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শুরু থেকে লন্ডনে এ পর্যন্ত ১৫ জন ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। সরকারি তথ্যের বরাতে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে পর ২০১৭ সালেই সবচেয়ে বেশি তরুণ ছুরি হামলার শিকার হয়েছে। লন্ডনে ২৫ বছর বা তার কম বয়সী ৪৬ তরুণ ছুরি হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়। অথচ তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ২১ জন।
জাতীয় পর্যায়ের তথ্যও বলছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কিশোর ও উঠতি তরুণদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।