জেরুজালেমে যিশুখ্রিস্টের সমাধিস্থল বা পবিত্র সমাধি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের খ্রিস্টান নেতারা। জেরুজালেমে খ্রিস্টানদের অবস্থান দুর্বল করতে ইসরায়েলি নীতির প্রতিবাদে এমন বিরল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক বিবৃতিতে সেখানকার চার্চ নেতারা এই ঘোষণা দিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল এই পবিত্র স্থানটির মর্যাদার ‘নজিরবিহীনভাবে’ নষ্ট করছে। স্থানটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলোর অন্যতম। চার্চটিকে যিশুখ্রিস্টের ক্রুশারোহণ ও সমাধিস্থল হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এটা খ্রিস্টানদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থানও।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি বিলে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ওই চার্চের সম্পত্তি বেসরকারি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে নেতারা বলেন, ‘এই বৈষম্যমূলক ও বর্ণবাদী বিলের মাধ্যমে চার্চ ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবমাননা চরমে পৌঁছেছে। বিলটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সম্পত্তিকে টার্গেট করা হয়েছে।’
রোমান ক্যাথলিক, আমেরিকান ও গ্রিক অর্থডক্স চার্চের নেতারা এই বিবৃতি স্বাক্ষর করেন। বিবৃতিতে চার্চের সম্পত্তির ওপর ইসরায়েলি সরকারের কর আরোপের সিদ্ধান্তেরও নিন্দা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘এসব পদক্ষেপ চার্চের অধিকার ও অগ্রাধিকারে নিশ্চয়তা দেওয়া বিদ্যমান চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এতে মনে হচ্ছে জেরুজালেমে খ্রিস্টানদের অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ যিশুর সমাধি চার্চ দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পুরনো নগরীতে অবস্থিত।
চার্চ নেতাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরেকাত বলেন, ‘এই পদক্ষেপ ইসরায়েলি দখলদারি বন্ধের প্রয়োজনীয়তা বিষয়টির মনে করিয়ে দেবে।’