X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্র-সক্ষমতা স্বীকার করে পুতিন বললেন, স্নায়ুযুদ্ধর পরিকল্পনা নেই

বিদেশ ডেস্ক
০২ মার্চ ২০১৮, ১৬:২৫আপডেট : ০২ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩৩
image

বৃহস্পতিবার স্টেট অব ন্যাশন ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের যে বাস্তবতা হাজির করেছেন, তা থেকে স্নায়ুযুদ্ধের গন্ধ খুঁজছেন বিশ্লেষকরা। সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন নিজেও সেই অস্ত্র-সক্ষমতার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে দাবি করেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের কোনও পরিকল্পনা নেই তার। বিশ্বে অস্ত্র-প্রতিযোগিতার কথাও পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে তার অভিযোগ, এর সব দায় যুক্তরাষ্ট্রের।
অস্ত্র-সক্ষমতা স্বীকার করে পুতিন বললেন, স্নায়ুযুদ্ধর পরিকল্পনা নেই

স্টেট অব ন্যাশন ভাষণে পুতিন নতুন প্রটোটাইপ মিসাইলের কথা বলেন। তিনি জানান, এটি বিশ্বের যেকোনও স্থানে আঘাত আনতে সক্ষম। এছাড়া মিসাইল প্রতিরোধ সিস্টেম দিয়েও এটা সনাক্ত করা যাবে না।  রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করা কঠিন, এটি অসীম পাল্লার এবং এটি দুর্ভেদ্য ও অদম্য। সেসময় একটি ভিডিওর মাধ্যমে রাশিয়ার ‘তৈরিকৃত’ নতুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং পানির তলদেশ দিয়ে চলাচলে সক্ষমতাসম্পন্ন একটি ড্রোন প্রদর্শন করেন তিনি। এ দুই ব্যবস্থার নামকরণ করার জন্য রুশ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান পুতিন।

পুতিনের ভাষণে এসব অস্ত্র উন্নয়নের কথা উঠে আসলেও কেউ অবাক হয়নি।  কয়েকজন বিশেষজ্ঞ অবশ্য বলেছেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে রাশিয়া নতুন স্নায়ুযুদ্ধ শুরু করতে পারে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে  পুতিন বলেন, ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা বিশেষজ্ঞ মতামত নয়, স্রেফ প্রচারণা।’ অস্ত্র প্রতিযোগিতার কথা অস্বীকার না করে পুতিন বলেন,  রাশিয়া কোনও স্নায়ুযুদ্ধ শুরু করবে না। আর অস্ত্রের প্রতিযোগিতার কথা বলতে হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কথাই বলতে হবে। কারণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ চুক্তি থেকে যখন তারা সরে যায় তখনই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।’

১৯৭২ সালে এ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। চু্ক্তির উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যেন পরষ্পরের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে না পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে না পারে। তবে ২০০২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শাসনামলে নাম প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। বুশের যুক্তি ছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কেউ পরষ্পরের কাছে হুমকি নয়। বরং এই  চুক্তির কারণে আগ্রাসী রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সুযোগ পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এবিএম চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কারণে রাশিয়া কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নতি সাধন করছে। যুক্তরাষ্ট্রও তার শক্তিমত্ত্বা বৃদ্ধি করেছে। এবিএম চুক্তি পরমাণু যুদ্ধের বিপরীতে একটা বীমা ছিল।

পুতিন দাবি করেন তাদের সব অস্ত্রই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে যেতে সক্ষম। তবে অন্যান্য পর্যবেক্ষক রাশিয়ার দাবি নিয়ে সন্দিহান। কারণ রাশিয়া এমন কোনও অস্ত্র পরীক্ষা করেনি। রাশিয়া সত্যি কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন কোনও মন্তব্য করেননি।

আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চতুর্থ বারের মতো প্রেসিডেন্ট হতে এ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পুতিন। এ নির্বাচনেও তিনিই জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের ১৭ দিন আগে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে বার্ষিক স্টেট অব দ্য নেশন ভাষণ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। 

 

/এমএইচ/বিএ/
সম্পর্কিত
ন্যাটোর অংশীদার হতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা
রুশ গুপ্তচর সন্দেহে জার্মানিতে গ্রেফতার ২
রাশিয়া জিতে গেলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে: ইউক্রেন
সর্বশেষ খবর
ন্যাটোর অংশীদার হতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা
ন্যাটোর অংশীদার হতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে ৬ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে ৬ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
রুশ গুপ্তচর সন্দেহে জার্মানিতে গ্রেফতার ২
রুশ গুপ্তচর সন্দেহে জার্মানিতে গ্রেফতার ২
সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
সর্বাধিক পঠিত
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার