X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুতিন ঘোষিত নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পেন্টাগন

বিদেশ ডেস্ক
০২ মার্চ ২০১৮, ২০:৩৬আপডেট : ০২ মার্চ ২০১৮, ২০:৪৯

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে অসীম পাল্লার, দুর্ভেদ্য ও অদম্য দাবি করলেও তা মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র। পুতিনের অস্ত্র সক্ষমতার ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র ‘বিস্মিত নয়’ বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। মুখপাত্র ডানা হোয়াইট বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, যে কোনও অস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম তারা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এসব খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) মস্কোতে বার্ষিক স্টেট অব দ্য নেশন ভাষণের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেদের তৈরি নতুন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পানির তলদেশ দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত হয়ে চলাচলে সক্ষমতাসম্পন্ন একটি ড্রোন প্রদর্শন করেন। নতুন দুটি ব্যবস্থার নামকরণে রুশ নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে পুতিন বলেন, নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করা কঠিন, এটি অসীম পাল্লার এবং এটি দুর্ভেদ্য ও অদম্য। ‘আমাদের পারমাণবিক প্রতিরক্ষা এমন শক্তিশালী যা রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক অ্ত্রেকেও প্রতিহত করতে পারে।’ যে কোনও মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে রক্ষায় প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে ডানা হোয়াইট সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, রাশিয়া তাদের পর্যবেক্ষণের আওতায় আছে এবং পুতিনের ভাষণে তারা ভীত নয়। ডানা হোয়াইট বলেন, ‘যে আঘাতই আসুক না কেন এই জাতিকে রক্ষায় আমরা প্রস্তুত।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করে নয় বলেও দাবি করেন তিনি। ডানা হোয়াইটের দাবি, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বৃত্ত জাতিগুলোকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স দাবি করেছেন, চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে এক দশকের বেশি সময় ধরে রাশিয়া অস্থিতিশীল অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পুতিনের ঘোষণা সেটাই প্রমাণ করেছে যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক আগে থেকেই জানার কথা বলে আসছিল অথচ রাশিয়া তা অস্বীকার করছিল।’

১৯৭২ সালে এ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। চু্ক্তির উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যেন পরষ্পরের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে না পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে না পারে। তবে ২০০২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শাসনামলে নাম প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। বুশের যুক্তি ছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কেউ পরষ্পরের কাছে হুমকি নয়। বরং এই  চুক্তির কারণে আগ্রাসী রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সুযোগ পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এবিএম চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কারণে রাশিয়া কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নতি সাধন করছে। যুক্তরাষ্ট্রও তার শক্তিমত্ত্বা বৃদ্ধি করেছে। এবিএম চুক্তি পরমাণু যুদ্ধের বিপরীতে একটা বীমা ছিল।

/জেজে/বিএ/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম