সাত বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ লোক মারা গেছে আর এদের সিংহভাগই সাধারণ জনগণ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘দ্যা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
সিরিয়ার ভেতরে থাকা সূত্রগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি এই দাবি করেছে। তারা সাড়ে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য জানতে পেরেছে। বাকিদের নাম পরিচয় জানতে পারেনি সংস্থাটি। এই মৃত ব্যক্তিদের ৮৫ শতাংশই সাধারণ নাগরিক। তাদের মৃত্যু হয়েছে মূলত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তার সহযোগীদের হামলায়।
উল্লেখ্য, আসাদ সরকারের সবচেয়ে বড় সহযোগী রাশিয়া। সিরিয়া যুদ্ধে আসাদ বাহিনী ও রাশিয়া প্রবল বিমান হামলা করেছে। আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অভিযোগও উঠেছে বারবার। কখনও ক্লোরিন, কখনও সারিন গ্যাস ব্যবহার করে হামলা করেছে সরকারি বাহিনী। খাদ্য ও ওষুধের অপ্রতুলতায় রিক্ত পূর্ব ঘৌটায় ত্রাণ সরবরাহ খুবেক্তা নিয়মিত নয়। যেটুকু ত্রাণ ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা থেকেও চিকিৎসা সামগ্রী বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে সরকারি বাহিনী বিরুদ্ধে। তাছাড়া রাশিয়ার সহযোগিতায় করা বিমান হামলাতে শহরের পর শহর ধংস হয়েছে। আলেপ্প থেকে পূর্ব ঘৌটা পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে লাখো মানুষ।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ সিরিয়ার সরকার আর বিদ্রোহীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সেখানে অন্তত চারটি বড় বড় পক্ষ বিদ্যমান যাদের স্বার্থ পরস্পর বিরোধী। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও ইসরায়েলের মতো বিদেশি শক্তিগুলো যুদ্ধরত ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের দেওয়া অস্ত্রের সরবরাহের কারণে যুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। সূত্রঃ রয়টার্স।