X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

আট সেনাসদস্যকে ফিরে পেতে তুরস্কের আর্জি খারিজ গ্রিসে

বিদেশ ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৪আপডেট : ১৬ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৮

শুক্রবার গ্রিসের একটি আপিল আদালত তুরস্কের ৮ সেনাসদস্যকে সে দেশের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ওই আট সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে হওয়া ব্যর্থ অভ্যুত্থানে সরাসরি জড়িত ছিল। অভিযুক্তরা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

আট সেনাসদস্যকে ফিরে পেতে তুরস্কের আর্জি খারিজ গ্রিসে

এটা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গ্রিসের আদালত তাদের তুরস্কের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করল। স্বাভাবিকভাবেই এতে দেশটির সঙ্গে ন্যাটোর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ক্যু ব্যর্থ হলে ওই সেনাদস্যরা ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই একটি হেলিকপ্টারে করে গ্রিসে পালিয়ে যায়। এরদোয়ান সরকার তাদেরকে অভ্যুত্থানকারী হিসেবে শাস্তি দিতে ইচ্ছুক। গ্রিসের আদালতে তুরস্ক তাদের বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ করেছিল। এসবের মধ্যে রয়েছে, অভ্যুত্থান, হত্যাচেষ্টা, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগ দেওয়া, সেনাবাহিনী থেকে পলায়ন এবং সেনাবাহিনীর জিনিস ফেরত না দেওয়ার মতো অভিযোগ। অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে করা তুরস্কের আর্জি খারিজ করে দিয়ে গ্রিসের আদালত বলেছে, উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভুয়া এবং সেগুলো প্রমাণে পূর্ববর্তী রায়ের পরে আর নতুন কোনও কিছু হাজির করতে পারেনি তুরস্ক।
গার্ডিয়ানের তখন প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে আটক সেনাদের মধ্যে একজন ২ জন কর্নেল, ৪ জন ক্যাপ্টেন এবং ২ জন সার্জেন্ট পদমর্যাদার সেনাসদস্য। তারা দাবি করেছে তারা আহত সাধারণ মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছিল। ওই অবস্থায় পুলিশ তাদের হেলিকপ্টারে গুলি চালালে তারা ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার নিয়ে তুরস্কে চলে গিয়েছিল। ওই দিনই তুরস্ক তাদের হেলিকপ্টার ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়। হেলিকপ্টার ফিরিয়ে দিলেও সেনাসদস্যদের ফেরত দেয়নি গ্রিস। গ্রিস সরকার বেআইনি অবতরণসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ এনে তাদের কারাবন্দী করে।

তুরস্ক আবারও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।

সুত্রঃ রয়টার্স।

/এএমএ/
সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইউরোপে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাপমাত্রা বাড়ছে
রুশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা, ৫০টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক