রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির গোপন আলোচনার খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর সূত্রে ‘দীর্ঘ’ বৈঠকে ‘বিস্তৃত’ আলোচনার খবর দিলেও বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সংকট উত্তোরণে সু চি আসিয়ান নেতাদের সহায়তা চেয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিকভাবে সু চি রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় স্বীকার না করলেও বিভিন্ন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি এই প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থান নিয়ে থাকেন।
রবিবার আসিয়ান সম্মেলনের শেষদিনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর জানায় গার্ডিয়ান। প্রভাবশালী ওই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা চাওয়ার পাশাপাশি সংকট উত্তোরণে মিয়ানমারের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। তবে গার্ডিয়ানের সেই প্রতিবেদন থেকে আলোচনার বিস্তারিত জানা যায়নি।
শেষ দিনের সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ওই আলোচনাকে গঠনমূলক দাবি করেন। বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আজ একটি দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। অং সান সু চি এই বিষয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন।’ রোহিঙ্গা সংকটকে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি এবং এখন পর্যন্ত এটা বলা যায়… আমাদের বৈঠকে খুবই গঠনমূলকভাবে আলোচনা হয়েছে’, বলেন টার্নবুল।
আসিয়ান নেতাদের মধ্যে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সংকট উত্তোরণের তাগিদ দিয়েছেন অন্যান্য নেতারাও। তবে আসিয়ানের নীতি মেনে তারা এ নিয়ে মিয়ানমারের ওপর শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। সম্মেলনস্থলের ভেতরে সংকট প্রশ্নে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ হয়ে গেলেও বাইরে সু চির বিরুদ্ধে উত্তাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবি ধ্বনিত হয় সেই প্রতিবাদী বিক্ষোভ থেকে।
এখনও অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন সু চি। সোমবার ক্যানবেরায় তার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। মঙ্গলবার সিডনির লোয়ে ইনস্টিটিউটে বক্তব্য রাখার কথা তার। শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে এখনও জনসম্মুখে কোনও কথা বলেননি তিনি। তবে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার কথা তার।
