X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

'বিশ্রাম নিতে' পদত্যাগ করলেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট

বিদেশ ডেস্ক
২১ মার্চ ২০১৮, ১২:৪৭আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৮, ১৬:০৯
image

রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনের কারণে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি রেখে পদত্যাগ করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট  উ থিন কিয়াও। দুই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সের খবরে তার কার্যালয় সূত্রে এই পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে তার পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টের অস্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্রাম নেওয়ার স্বার্থেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। হারিয়েছিলেন কাজের সক্ষমতা। উ থিন কিয়াও সু চির বহুদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু।

সু চির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন থিন কিয়াও



বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাফতরিকভাবে তার পদত্যাগের কোনও কারণ জানানো হয়নি। তবে সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, উ থিন কিয়াও বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার বিদেশে যেতে হয়েছে। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতেও তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে রয়টার্স বলছে, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো না হলেও ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যগত কারণেই ৭১ বছর বয়সী থিন পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রীয় নানা অনুষ্ঠানেও তাকে শারীরিকভাবে দুর্বল দেখা গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের তরফে দেয়া একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট উ থিন কিয়াও ২১ মার্চ পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি  ‘‘বিশ্রাম নিতে চান।’’
উল্লেখ্য, দু’বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট উ থিন কিয়াও পদত্যাগ করে ক্ষমতা থেকে সরে গেলেন। উ থিন কিয়াও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন, গত বছর থেকে এই গুঞ্জন শোনা গেলেও সরকার ও অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেতারা এই জল্পনাকে স্রেফ গুজব বলে দাবি করে আসছিলেন। ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার নামের একটি পত্রিকায় বুধবার এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন ছাপানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে দেওয়া নোটিশে সরকার জানিয়েছে, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিইন্ত সোয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ‘পিদাউংসু’ তার বিকল্প কাউকে মনোনীত করার আগ পর্যন্ত উ মিইন্ত সোয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। 
মিয়ানমারে দীর্ঘ কয়েক দশকের সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর ২০১৬ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন থিন। তবে সর্বোচ্চ পদে থেকেও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে তিনি ছিলেন অনেকটাই দর্শকের ভূমিকায়। নেপথ্যে থাকলেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে অং সাং সু চি-ই মিয়ানমারের সব নির্বাহী ক্ষমতা ভাগাভাগি করে থাকেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সু চির শৈশবের বন্ধু ছিলেন থিন কিয়াও। দীর্ঘদিন ছিলেন তার উপদেষ্টা, চালিয়েছিলেন সু চিকে বহনকারী গাড়ি। নীরব ও নির্ভরযোগ্য মানুষ হিসেবে দেখা হতো থিন কিয়াওকে। সু চি তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারতেন। 

/জেজে/বিএ/ চেক-এমওএ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন