X
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি চান না বেশিরভাগ ফরাসি: ইউগভের জরিপ

বিদেশ ডেস্ক
২৬ মার্চ ২০১৮, ১০:০২আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৮, ১০:৫৫
image

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ যেসব দেশ ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির পক্ষপাতী নন বেশিরভাগ ফরাসি জনগণ। ফ্রান্সের ৭৫ শতাংশ জনগণ চান, প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এসব দেশের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করুক। সোমবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্স বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ। অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটিও এটি। ২০১৪ সালে দেশটি ওই চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে এ ধরনের ক্ষেত্রে অস্ত্র বিক্রি বা রফতানি না করতে দেশটির ওপর আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়।  সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ফরাসি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ফরাসি পার্লামেন্টেরও জোরালো কোনও ভূমিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে সৌদি জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রতিবেদনে বলা হয়,ফরাসি সরকার ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি আরব ও আমিরাতকে অস্ত্র সরবরাহ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে। এরইমধ্যে ফরাসি জনগণের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করলো ইউগভ।

ইন্টারনেটভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইউগভের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ বিশ্বাস করে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে এমন দেশগুলোকে ফ্রান্সের অস্ত্র রফতানি বন্ধ করা হোক। আর ৭৫ শতাংশ ফরাসি জনগণ মনে করেন ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ কেরা উচিত। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ১০ জনে ৭ জনই মনে করেন, ফ্রান্স সরকারের উচিত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করা।

২০-২১ মার্চ অনলাইনে জরিপটি চালিয়েছে ইউগভ। ১৮ কিংবা তার বেশি বয়সী ১,০২৬ জন ফরাসি নাগরিককে জরিপের নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মার্চে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ হাজার মানুষের। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। সৌদি জোটের বিমান হামলা থেকে বাদ পড়েনি জানাজার নামাজ থেকে শুরু করে বিয়েবাড়িও। ভয়াবহ বিমান হামলার তাণ্ডবে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখে তারা বরাবরই সৌদি আরবকে শীর্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে শনাক্ত করে আসছে। জার্মানি ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র রফতানির আবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করে থাকে। ২০১৫ সালে একইরকম উদ্বেগ জানিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেছিল সুইডেন। 

/এফইউ/
সম্পর্কিত
ইরানে পাল্টা হামলা না চালাতে ইসরায়েলকে ক্যামেরনের আহ্বান
চাসিভ ইয়ার দখল করতে চায় রাশিয়া: ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান
রুশ নিয়ন্ত্রিত শহরে ইউক্রেনীয় হামলায় নিহত বেড়ে ১৬
সর্বশেষ খবর
নারিনকে ছাপিয়ে বাটলার ঝড়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
নারিনকে ছাপিয়ে বাটলার ঝড়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
সর্বাধিক পঠিত
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়