অভিবাসন সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বিচারপতিদের ওপর চাপ জোরালো করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরে অন্তত ৭০০টি অভিবাসন সংক্রান্ত মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলে তাকে সন্তোষজনক’ বিবেচনা করবে সরকার।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাড়াহুড়ো করে শুনানি করতে গেলে বিচারকার্যে ত্রুটি হতে পারে।
নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই অভিবাসন ইস্যুতি নিজের কট্টর অবস্থানের কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে খানিকটা নমনীয় অবস্থান দেখান তিনি। ‘অনিবন্ধিত অভিবাসী’দের মধ্যে যাদের অপরাধকর্মের রেকর্ড নেই এবং যারা কর্মী হিসেবে দক্ষ, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অধিকার রক্ষার ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে অভিবাসন নীতি বদলের প্রশ্নে পূর্বের অবস্থানেই রয়েছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এদিন মেধাভিত্তিক নতুন অভিবাসন নীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দেন তিনি।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে অভিবাসন নিয়ে রায়ের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এই অচলাবস্থা কাটাতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন নতুন নীতি প্রণয়নের চেষ্টা করছেন। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রিপাবলিকানদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন অভিবাসন বিরোধী কঠোর কোনও আইন প্রণয়ন করেন। অনথিভুক্ত শিশুদের মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারেও পুনরায় নিজের বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেন ট্রাম্প।
মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট জানায়, তারা মামলার বার্ষিক একটি সংখ্যা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ভালো ও কার্যকরীভাবে এগুলো পরিচালনা করতে হবে। মুখপাত্র ডেভিন ও মেলে বলেন, বছরে বিচারকরা ৬৭৮টি মামলা পরিচালনা করেন। আবার কয়েকজন এক হাজারেরও বেশি মামলাও শেষ করেছেন। তবে ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ইমিগ্রেশন জাজেসের আশঙ্কা, এই বিষয়টি আইনি বাধায় পড়তে পারে। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট অ্যাশলি তাবাদোর বলেন, ‘এর ফলে প্রশ্ন উঠতে পারে যে আদালত বহির্ভূত বিষয় বিচারকদের নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতায় প্রভাব ফেলে।’
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স এসোসিয়েশন (আইলা) মনে করছে, জমা হওয়া মামলা শেষ করার জন্য বিচারকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়। সংগঠনটির পলিসি কাউন্সেল লরা লিঞ্চ ডেইলি বিস্টকে বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে মামলাগুলো এখন তাড়াহুরো করে পরিচালনা করা হবে।’