উপসাগরীয় দেশগুলোর সংগঠন গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্যরা চলমান সংকট নিরসনে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ সংকট নিরসন না হলে তা ওই অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনা’র বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আল জারাল্লাহ এই সংকট নিরসনে উপায় খুঁজতে মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। আল জারাল্লাহ বলেন, সবাই বুঝতে পেরেছে এই বিভক্তি যতদিন থাকবে উপসাগরীয় সংগঠনটিতে আরও গভীর ক্ষত তৈরি হবে।
সৌদি আরব, সংযু্ক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর গত বছরের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারা দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগ করে আসছে। তবে কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আল জারাল্লাহ সতর্ক করে দেন যে, এই সংকট জিসিসি’র নেওয়া অনেক পদক্ষেপকে নষ্ট করে দিতে পারে। তিনি বলেন, এই মতভেদ সমাধান না হলে জিসিসি’র সদস্য দেশগুলোর সব আশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস হয়ে যাবে। এর ফলে দেশগুলোর লাভের জন্য যোগাযোগ, একতা, সাদৃশ্য ও যৌথতার ভিত্তিতে নেওয়া পদক্ষেপগুলোও ব্যর্থ হবে।
কাতারের মন্ত্রী আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত এই বিতর্ক দেখা দেওয়ার পর থেকে বৈঠক ও প্রস্তাব স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে জিসিসির বেশকিছু কৌশল বিঘ্নিত হয়েছে।’ তার মতে, এই বিতর্ক চলতে থাকলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যাঘাত ঘটা ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য শক্তির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপসাগরীয় সংকটে মধ্যস্থতা করায় আল জারাল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র-জিসিসি যৌথ সম্মেলন আয়োজনের মতো পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করাই ভাল হবে।
এপ্রিল মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জিসিসির একটি সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। আগামী সেপ্টেম্বরে এই হতে পারে।