প্রথমবারের মতো আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে পারমাণবিক শক্তিধর চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। চলতি বছরের আগস্টের শেষ দিকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এই মহড়ায় চীনেরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) আয়োজিত ‘শান্তি মিশন ২০১৮’ নামের এই যৌথ মহড়ায় আর কয়েকটি দেশেরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ ফয়সাল মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর ভারতের তরফে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি। বিরোধপূর্ণ কাশ্মির নিয়ে দুই দেশের সীমান্তে সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়েছে। গুলিবিনিময় আর পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলছে দেশ দুটি। এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো এই যৌথ মহড়ার খবর সামনে এলো।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এটা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এর আওতার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো।
তবে সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, আগামী আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম পর্যন্ত রাশিয়ার উরাল পার্বত্য এলাকায় ওই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। ‘শান্তি মিশন ২০১৮’ নামের এই মহড়ায় সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর বলা হয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়ার খবর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর ভারত-চীন অস্বাভাবিক সম্পর্কের মধ্যেও এই মহড়ার গুরুত্ব রয়েছে।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তসরকার জোট সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান এর সদস্য নির্বাচিত হয়। বর্তমানে আট সদস্যের জোটের অপর দেশগুলো হলো রাশিয়া, চীন, কাজাখাস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। এছাড়া জোটের চার পর্যবেক্ষক দেশ হরো আফগানিস্তান, বেলারুস, ইরান ও মঙ্গোলিয়া।