ভারতে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে’কে হত্যার দায়ে কুখ্যাত অপরাধী ছোটা রাজন ও অপর আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। বুধবার ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালত এই রায় দেন। সাত বছর আগে মুম্বাইয়ে ওই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল।
ছোটা রাজনসহ ওই অপরাধীচক্রের সদস্যরা ২০১১ সালের ১১ জুন রিপোর্টার জ্যোতির্ময় দে’কে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। তিনি অপরাধীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন লিখতেন। তিনি ওই সময় মিড ডে পত্রিকায় কাজ করছিলেন।
প্রসিকিউটররা জানান, অপরাধীচক্রের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাজনের নির্দেশে জ্যোতির্ময়কে হত্যা করা হয়। রাজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লেখায় সে এই সাংবাদিকের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।
মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালত ৫৬ বছর বয়সী ওই সাংবাদিককে হত্যার নির্দেশ দেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় রাজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এছাড়া আদালত চার শুটারসহ ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আট সহকারীকেও দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
আদালত এ মামলায় অভিযুক্ত এক নারী সাংবাদিকসহ অপর দু’জনকে খালাস করে দিয়েছে। এশিয়ান এজ পত্রিকার সাংবাদিক জিগনা ভোরার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি অপরাধীদের কাছে জ্যোতির্ময়ের বাড়ির ঠিকানা ও মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নম্বর দিয়েছেন। তিনি আদালতে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছেন।
এর আগে এই বছরের শুরুতে রাজনকে ভুয়া পাসপোর্ট বহনের দায়ে সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার রায় তিহার কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেখে রাজন। রায় শুনে সে বলে, ঠিক আছে।
২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি বিমানবন্দর থেকে ভারতে নিয়ে আসার পর রাজনের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় রায়। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, দ্য ওয়্যার।