X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তাল বিক্ষোভ সংঘটনে নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে গাজা উপত্যকা

বিদেশ ডেস্ক
১৫ মে ২০১৮, ১৩:২৭আপডেট : ১৫ মে ২০১৮, ১৬:৪৬
image

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরের দিনই ফিলিস্তিন জুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার নাকবা বা বিপর্যয় দিবসে ৭০তম বার্ষিকী পালন করবে ফিলিস্তিনিরা। ১৯৪৮ সালের এইদিনে ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ঐতিহাসিক এই প্রেক্ষাপটে গ্রেট রিটার্ন মার্চ কর্মসূচির শেষ দিনটি পালিত হবে আজ। পাশাপাশি এদিন সোমবার নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই বাস্তবতায় গাজা উপত্যকা আজ বিক্ষোভে আরও উত্তাল হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  
উত্তাল বিক্ষোভ সংঘটনে নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে গাজা উপত্যকা

ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। কর্মসূচির শেষ দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। গ্রেট রিটার্ন মার্চ খ্যাত এবারের কর্মসূচিতে সোমবারের আগ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি। আর সোমবার একদিনেই নিহত হয়েছেন আরও ৫৯জন।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ ফিলিস্তিনি জাতিগত মুক্তির লড়াইয়ে শহীদ হওয়া ওই ৫৯ মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিকে সমাধিস্থ করা হবে। আন্দোলনের সংগঠকরা জানিয়েছেন, সীমান্তে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির থেকে তাদের জানাজার দিকে বেশি মনোযোগ থাকবে বিক্ষোভকারীদের। তবে হামাসের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, এদিন সীমান্তের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

উত্তাল বিক্ষোভ সংঘটনে নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে গাজা উপত্যকা

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের একক রাজধানীর স্বীকৃতি দেন। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। এ নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোট হলে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। বিশ্বজুড়ে নিন্দা আর তুমুল প্রতিবাদের মধ্যেও দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় জেরুজালেমে দূতাবাস খোলে যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেন, সোমবারের সহিংসতায় ৫৯ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ২৭০০ মানুষ আহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তার সামরিক বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য এসব কাজ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতারা এই হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন। 

৬ সপ্তাহব্যাপী ভূমি দিবসের আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সীমান্তে বিক্ষোভ করছিলেন। হামাস এই কর্মসূচিকে ‘গ্রেট রিটার্ন মার্চ’ নামে অভিহিত করছে। সোমবারের বিক্ষোভ মঙ্গলবারও জারি রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইসরায়েল সৃষ্টির বার্ষিকী হিসেবে এই বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তাল বিক্ষোভ সংঘটনে নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে গাজা উপত্যকা

ইসরায়েল বলেছে, সোমবার গাজায় ইসরায়েলি সীমান্তের ১৩টি স্থানে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ‘সহিংস দাঙ্গা’য় অংশ নেয়। ইসরায়েলি বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করলে  ফিলিস্তিনিরা পাথর ও আগ্নেয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে।

 ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ’র একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বিক্ষোভকারী নয়, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের ওপর গুলি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কাঁদানে গ্যাসসহ সাধারণ উপায় ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 তিনদিনের শোক ঘোষণা করে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, আজ আবারও আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ বজায় রাখা হয়েছে।

 

/আরএ/বিএ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই গ্রেফতার
ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই গ্রেফতার
‘কত সাহায্য চাওয়া যায়? আমাকে এখন দেহ ব্যবসা করার কথাও বলে’
রানা প্লাজার ভুক্তভোগীর আক্ষেপ‘কত সাহায্য চাওয়া যায়? আমাকে এখন দেহ ব্যবসা করার কথাও বলে’
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান