X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষ পেশাজীবীরা যেতে পারছেন না যুক্তরাজ্যে

অদিতি খান্না, যুক্তরাজ্য
১৬ মে ২০১৮, ২৩:১৩আপডেট : ১৬ মে ২০১৮, ২৩:১৯

চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক ও আইটি সেক্টরের পেশাজীবীসহ ছয় হাজার ৮০ জন দক্ষ পেশাজীবীকে সম্প্রতি দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি ব্রিটিশ সরকার। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও ছিলেন। বুধবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে তারা ভিসার আবেদন করে প্রত্যাখাত হয়েছেন।

দক্ষ পেশাজীবীরা যেতে পারছেন না যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছ থেকে ফ্রিডম অব ইনফরমেশনের আওতায় এই তথ্য সংগ্রহ করেছে দ্য ক্যাম্পেইন ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (কেস)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে অভিবাসী নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের কী সংকট তৈরি হয়েছে সেটাই খতিয়ে দেখছে সংগঠনটি।

জাতীয়তার ভিত্তিতে এই তালিকা ভাগ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রত্যাখাতদের অর্ধেকের বেশিই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক কিংবা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। টায়ার-২ ভিসার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে অভিবাসী নিয়োগ দিতে পারে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠাগুলো। এই ভিসার আওতায় সবচেয়ে বেশি যায় বাংলাদেশিরা। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট মালিকরা এ দেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়ে যেতে চায়।

ভিসার ক্ষেত্রে বার্ষিক সীমারেখা ২০ হাজার ৭০০, মাসিক সর্বোচ্চ ১৬০০। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত গত ছয় বছরে মাত্র একবার এই সীমারেখা অতিক্রম করে।

ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কাউন্সিলের প্রধান ড. চান্দ নাগপল আরও শিথিল অভিবাসন ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি চান যেন কোনও চিকিৎসককে ফিরে যেতে না হয় এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় সংকট (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এনএইচএস) তৈরি না হয়।

ড. চান্দ নাগপল বলেন, এনএইচএস-এ এক লাখেরও বেশি পোস্ট খালি পড়ে আছে। এই শূন্যতা বেড়েই চলছে, তাও এমন সময় যখন আমরা খুব করে লোক নিয়োগ দিতে চাইছি। চলমান ভিসা ব্যবস্থার কারণে যুক্তরাজ্যে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা হুমকির মুখে পড়েছে।

কেস নামের সংগঠনটি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে লবিং করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের অভিবাসীদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করছে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. সারাহ মাইন বলেন, এই ভিসা প্রক্রিয়ায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দক্ষ ও পিএইচডি লেভেলের অভিবাসীদের এই টায়ার-২ ভিসা প্রক্রিয়া থেকে আলাদা করা উচিত। চলতি বছরের প্রথমেই এই বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে চিঠি লিখেছিলেন ড. সারাহ মাইন।

পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক পেশাজীবীদের অবদান স্বীকার করে। তবে চাকরির ক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যবস্থার এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, শ্রমবাজারে আগে ব্রিটিশ নাগরিকরা যেন গুরুত্ব পায়।

দফতরের একজন মুখপাত্র জানান, ‌যখন চাহিদা যোগানের চেয়ে বেড়ে যায় তখনই টায়ার-২ এর প্রয়োজন পড়ে। এখন পর্যন্ত তেমন অভাব পরিলক্ষিত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যে আবেদনগুলো প্রত্যাখান করা হয়েছে তারা আবারও পরের মাসে আবেদন করতে পারবেন।

/এমএইচ/এমপি/
সম্পর্কিত
ইউক্রেনকে ৬২ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইউরোপে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাপমাত্রা বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা