ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) ছড়িয়ে পড়ছে ইবোলা সংক্রমণ। দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভাইরাসটি হানা দিয়েছে শহরাঞ্চলেও। এতে সংক্রমণের প্রতিরোধ আরও বেশি কঠিন হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত ৪৪ জনকে চিহ্নিত করে গেছে। ইতোমধ্যে সংক্রমণে মারা গেছে অপর ২৩ জন। ইবোলা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে করণীয় নির্ধারণে জরুরি সভা ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলে ইলুঙ্গা কালেঙ্গা নিশ্চিত করেছেন, দেশটিতে ইবোলা সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি যেখানে চিহ্নিত করা হয়েছিল সেখান থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরের শহরেও এখন ইবোলা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বানদাকা শহরটির বাসিন্দা প্রায় ১০ লাখ। যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ওই শহরটি ডিআর কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার সঙ্গেও যুক্ত। ফলে ইবলার মহামারি রাজধানীতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি কেন্দ্র ওই শহর। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ইবোলা ভাইরাস।
বিবিসি লিখেছে, ইবোলা সংক্রমণ একটি ভয়ঙ্কর অসুস্থতা তৈরি করে। আক্রান্ত ব্যক্তি অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের শিকার হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুবরণ করে। আক্রান্তদের অনেকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা যায় না। সাধারণত ইবোলা আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর হওয়ার মতো কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
ডিআর কঙ্গো থেকে ইবোলা সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এবারের ইবোলা সংক্রমণের ঘটনাটিকে বৈশ্বিক ঝুঁকি হিসেবে ঘোষণা করা হবে কি না। ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং ২০১৬ সালে ল্যাটিন আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৈশ্বিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা লেগেছিল।
হুয়ের ‘ইমারজেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্সের’ ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পিটার সালামা বলেছেন, ‘প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়ায় এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমরা আগে গ্রামীণ ইবোলা দেখেছি। এখন আমাদের সামনে শহুরে ইবোলা। এখন সংক্রমণ বিস্ফোরক গতিতে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ’