X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিআইএ’র প্রথম নারী পরিচালক হলেন জিনা হাসপেল

ব্রজেশ উপাধ্যায়, যুক্তরাষ্ট্র
১৮ মে ২০১৮, ০৫:১৪আপডেট : ১৮ মে ২০১৮, ১৫:২৮

বিতর্কের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‌(সিআইএ) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দেশটির সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন জিনা হাসপেল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত হাসপেল ৫৪-৪৪ ভোটে নিজের অনুমোদন নিশ্চিত করেন। ৯/১১ হামলার পর সিআইএ’র বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল ওয়াটারবোর্ডিং (মুখ ঢেকে পানি ঢালা) প্রয়োগে নিজের সংশ্লিষ্টতার কারণে মানবাধিকার গ্রুপ, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট, এমনকি কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরও তার সমালোচনা করেছেন।

সিআইএ পরিচালক হিসেবে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন জিনা হাসপেল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিআইএ পরিচালক হিসেবে জিনা হাসপেলকে মনোনয়ন দিলে তার বিরোধিতা করেছিলেন নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম সিনিয়র সিনেটর জন ম্যাককেইন। বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল (ইনহ্যাস্নড ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম) প্রয়োগে সংশ্লিষ্টতার কারণে ম্যাককেইন তার মনোনয়নের বিরোধিতা করলেও কয়েকজন ডেমোক্র্যাটের সমর্থন পেয়ে মনোনয়নে টিকে যান হাসপেল।

সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সামনে প্রশ্নোত্তরের সময় হাসপেল বারবার জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে একটি কুখ্যাত গোপন কারাগার পরিচালনায় নিজের ভূমিকার কথা বলেছেন। ওই কারাগারে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীরা ওয়াটারবোর্ডিংয়ের শিকার হয়েছিল। সিআইএ’র ওয়াটারবোর্ডিং নামের জিজ্ঞাসাবাদ কৌশলে বন্দির মুখ ঢেকে দিয়ে ক্রমাগত পানি ঢালা হতো। এতে বন্দি নিজেকে ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে অনুভব করতো। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর সিআইএ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের ওপর এই কৌশল প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে।

তবে হাসপেল এখন বলছেন, প্রেসিডেন্ট চাইলেও সিআইএ আর এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করবে না। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একজন, যিনি প্রেসিডেন্টের নির্যাতন ফিরিয়ে আনার মতো অবৈধ ও নীতিবহির্ভূত আদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবেন। তবে হাসপেলের নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়ে বিরোধিতা করেছিলেন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য ওয়ার্নার।

হাসপেল তাকে একটি চিঠি লেখার পরে নিজের মত পাল্টান বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই চিঠিতে হাসপেল লিখেছিলেন, নিজের শুভবুদ্ধির সুযোগ নিয়ে এবং একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন নেতা হিসেবে বলতে চাই, ইনহ্যাস্নড ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম সিআইএ আর চালিয়ে যাবে না।

৩৩ বছর ধরে সিআইএ’তে কাজ করা ঝানু গোয়েন্দা হাসপেল তার পূর্বসূরি মাইক পম্পেওর স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পম্পেওর নিয়োগ চূড়ান্ত হলে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন হাসপেল।

সমালোচনা সত্ত্বেও সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির কাছে ব্যাপক সম্মান পেয়েছেন হাসপেল। তার সমর্থনে গলা মিলিয়েছেন সিআইএ’র সাবেক কয়েকজন পরিচালকও। ১৯৮৫ সালে সিআইএ’তে যোগ দিয়ে সংস্থার হয়ে প্রায় ২০টি আলাদা ধরনের কাজ করেছেন তিনি। দেশের বাইরেও সংস্থার হয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

/জেজে/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
বাংলাদেশকে ‘সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ দেশ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না