অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে শিয়া নেতা সদর জোটের বিজয়ী হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল আগেই। এবার নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ঘোষণায় তার নেতৃত্বাধীন সা’য়িরুন জোটকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী না হওয়ায় সদর নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সরকারগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তার।
ইরানপন্থী রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে তিনি তাকিয়েছেন নিজ দেশের মাটিতে। প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন শিয়া-সুন্নি রাজনৈতিক ঐক্য। কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জোট করেছেন, প্রেরণা নিয়েছেন তাদের তৃণমূলের সাংগঠনিক দক্ষতা থেকে। মার্কিনবিরোধী সশস্ত্রপন্থা ছেড়ে আগ্রাসনের ক্ষত আর দারিদ্র্য ও দুর্নীতি জর্জরিত ইরাকের বঞ্চিত জনতার পক্ষে লড়াইকেই করেছেন বৈদেশিক আগ্রাসন বিরোধিতার নতুন অস্ত্র। সঙ্গে ছিল তার ব্যক্তিগত সততা আর নির্বাচনে সুন্নীদের সীমিত অংশগ্রহণ। এইসব মিলে ইরাক জয় করে নিয়েছেন শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর।
নির্বাচন কশিমন আজ (শনিবার) জানিয়েছে, মুক্তাদা সাদ্রের জোট জাতীয় সংসদের মোট ৫৪টি আসন পেয়েছে। এ জোট এই প্রথম ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিল এবং প্রথমবারেই বড় রকমের সফলতা পেল। গত শনিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সাবেক পরিবহনমন্ত্রী ও বাদ্র অর্গানাইজেশনের মহাসচিব হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোট ৪৭ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ৪২ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থান নিশ্চিত করেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদির নেতৃত্বাধীন ভিক্টোরি জোট।
সদরের নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোটে শিয়ারা ছাড়াও রয়েছে খ্রিস্টান ও সাম্যবাদী রাজনৈতিক শক্তি। এবারই তারা প্রথম নির্বাচনে অংশ নিল। জোটের ১৮টি রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়া পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সদস্য। গ্রুপের বড় একটা অংশ অস্ত্র জমা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিয়া নেতা মুক্তাদা সদরের ইরাক জয়ের নেপথ্যে