ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌদি আরবের ওপর চলা হামলায় ইয়েমেনের হুথিদের সহায়তা করার অভিযোগে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা আইআরজিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত তথ্য হুথিদের হাতে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে দেশটি। আল জাজিরা জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুইজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌদি আরবের ওপর হামলাকারী ইয়েমেনি হুথিদের প্রতি ইরানি সমর্থন কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না যুক্তরাষ্ট্র।’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে দুইজনকে ইরানি রেভ্যুলেশনারি গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেব চিহ্নিত করা গেছে। আল জাজিরা লিখেছে, আইআরজিসি ইরানের সেনাবাহিনীর এমন একটি অংশ যা দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির প্রতি দায়বদ্ধ। আইআরজিসির ওই দুই কর্মকর্তার একজন মাহমুদ বাঘেরি কাজেমাবাদ। তিনি আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ইউনিটের কমান্ডার। সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনায় ওই ইউনিটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অপরজন আঘা জাফারি। তিনি ওই একই ইউনিটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দাবি করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইসলামি রেভ্যুলেশনারি গার্ডের তৎপরতাকে সহায়তা দিতে ‘ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করার’ বিষয়টি তারা তত্ত্বাবধান করেন। তাদের পাশাপাশি নাম প্রকাশ না করা আর একজন আইআরজিসি কর্মকর্তা ও দুই জন ইরানি নাগরিককে ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই সঙ্গে এই ব্যক্তিদের আর্থিক বা অন্য কোনওভাবে সহায়তা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ওই দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, তারা ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর পক্ষ থেকে লেবাননের হিজবুল্লাহকে দেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহে সহায়তা করেছেন।