যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টন ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একদল শিক্ষার্থীর তোপের মুখে পড়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। বক্তব্যের ফাঁকেই শিক্ষার্থীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় তাকে। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গাজা উপহত্যায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি। দর্শক সারি থেকে আওয়াজ আসে, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্তের দাগ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে ওই বক্তব্যের শুরুতেই নিকি হ্যালি বলেন, আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে খুব ব্যস্ত একটি সপ্তাহ শেষে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।
বক্তব্যের মাঝপথেই একজন শিক্ষার্থী আওয়াজ তোলেন। তিনি বলেন, ‘নিকি হ্যালি, আপনার হাতে রক্ত! ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো গণহত্যার জন্য আপনার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার নিন্দা জানাই। আপনি সন্ত্রাসী ও উপনিবেশবাদীদের একজন সহযোগী!’
অন্যরা তার এ বক্তব্যকে স্বাগত জানায়। একদল শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ফিলিস্তিনপন্থী অ্যাক্টিভিস্টরা আওয়াজ তোলেন, ‘নিকি, নিকি, দেখছেন না! আপনি খুনের নেশায় মত্ত!’
এক পর্যায়ে কিছুক্ষণের জন্য বক্তব্য বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকেন নিকি।
ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের প্রতি সহানুভূতিশীলরা এ প্রতিবাদে অংশ নেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইনের (এসজেপি) পক্ষ থেকে নিকি হ্যালি’কে কি-নোট স্পিকার হিসেবে আমন্ত্রণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিন্দা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনে কট্টর ইসরায়েলপন্থীদের একজন নিকি হ্যালি। ইতোপূর্বে তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগে জাতিসংঘে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, এটা লজ্জাজনক যে জাতিসংঘ ইসরায়েলের সঙ্গে শত্রুতামূলক আচরণ করছে। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।