যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার দেশটির কংগ্রেস কমিটির এক শুনানিতে বলেছেন, পাকিস্তান সে দেশে নিয়োজিত মার্কিন কূটনীতিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা লিখেছে, এককালের ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে দিন দিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে দেওয়া আর্থিক সহযোগিতার পরিমাণ কমিয়ে এনেছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানি কূটনীতিকদের চলাফেরার এলাকা নির্দিষ্ট করে দেয়। বলা হয়, পাকিস্তানি কূটনীতিকরা দূতাবাসের ৪০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দূরে যেতে পারবেন না। দেশটির দাবি, পাকিস্তানের একই রকম সিদ্ধান্তের কারণে তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য পাকিস্তান দাবি করেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা মার্কিন কূটনীতিকদের চলাফেরা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
২০১৯ সালের বাজেট বিষয়ক আলোচনায় পম্পেও ‘হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিকে’ বলেছেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করা হচ্ছে না। এমন কি দূতাবাস ও কাউন্সিলে অন্যান্য যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা খারাপ আচরণ করছে।’
পম্পেওর বক্তব্যের সমর্থন পায়া গেছে পাকিস্তানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তাদের বক্তব্যেও। দূতাবাসের পক্ষে একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে আল জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও দূতাবাসে কাজ করা স্থানীয় কর্মকর্তারা যে হেনস্তার স্বীকার হচ্ছেন তাতে তাদের পক্ষে দূতাবাসের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তার ভাষ্য, ‘পাকিস্তানি সাধারণ নাগরিকদের যারা মার্কিন দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে তাদেরকেও পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা হয়রানি করছে।’ জবাবে পাকিস্তান বলেছে, তারা মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ পায়নি।
মার্কিন দূতাবাসের ডিফেন্স এটাচে হিসেবে কর্মরত কর্নেল জোসেফ ইমানুয়েলকে একজন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ও অপর একজনকে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সড়কে লাল বাতি জ্বলে ওঠার পরেও গাড়ি চালিয়ে যেতে থাকায় ইসলামাবাদের দামান-ই-কোহ এলাকাতে গত ৭ এপ্রিল ওই দুর্ঘটনা ঘটে।