X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে সম্পত্তি হারানোর আশঙ্কা শরণার্থীদের

বিদেশ ডেস্ক
২৬ মে ২০১৮, ১৩:০৭আপডেট : ২৬ মে ২০১৮, ১৩:১৮

সিরীয় যুদ্ধে যেসব এলাকার অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে সেসব স্থানে আবার স্থাপনা গড়ে তোলা হবে এমন কথা জেনে ওইসব স্থান থেকে বিদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা সিরীয় নাগরিকরা ও তাদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলো চন্তিত হয়েছ পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, নতুনভাবে অবকাঠামো নির্মাণের নামে সিরীয় সরকার তাদের সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে আশ্রয়দাতা দেশগুলো ভাবছে, সিরিয়ায় থাকা সম্পত্তি যদি না থাকে তাহলে শরণার্থীদের সিরিয়ায় ফেরানোর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হয়ে যাবে। সিরিয়ায় অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে সম্পত্তি হারানোর আশঙ্কা শরণার্থীদের

গত মাসে দামেস্কর কাছে থাকা বিদ্রোহীদের ঘাঁটি উচ্ছেদ করার পর পুরো পশ্চিম সিরিয়া আসাদ বাহিনীর দখলে চলে যায়। এরপরই ‘ল টেন’ নামের একটি আইন কার্যকরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, পুনর্গঠনের কাজ করা হবে এমন এলাকাগুলোতে থাকা সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে খুব কম মানুষই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের মালিকানা স্বত্ব প্রমাণ করতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা সিরীয়দের সামনে এখন এখন বড় একটি সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে—তারা কি সিরিয়ায় ফেরত যাবেন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য না কি শরণার্থী শিবিরেই থেকে যাবেন। যদি সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে তাদের সিরিয়ায় ফেরত যাওয়ার মতো আর কোনও বিশেষ আগ্রহ থাকবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘যদি এককালের বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় আইনটি বলবৎ হয়, তাহলে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে যারা শরণার্থী হয়েছে তারা আর সিরিয়ায় ফিরে যাবে না।

তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ এর বিরোধিতা করেছেন। তার ভাষ্য, আইনটির অপব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে করে পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণকে তার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা যায়। গ্রিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আইনটি ‘কাউকে বাতিল করে দেওয়ার জন্য বানানো হয়নি।’

/এএমএ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের মেয়র তাপসের হুঁশিয়ারি
নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের মেয়র তাপসের হুঁশিয়ারি
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তেভেজ
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তেভেজ
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
চিকিৎসা-খাদ্য-কৃষি সরঞ্জামের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে ঢাকায়
চিকিৎসা-খাদ্য-কৃষি সরঞ্জামের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে ঢাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…