X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাগরে সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দায়িত্বহীন’ মন্তব্যের সমালোচনা চীনের

বিদেশ ডেস্ক
০৩ জুন ২০১৮, ১৭:৪৯আপডেট : ০৩ জুন ২০১৮, ১৭:৫৩

দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিকায়নের মাধ্যমে প্রতিবেশিদের ভয় দেখাচ্ছ চীন- যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্যকে দায়িত্বহীন বলে চিহ্নিত করেছে দেশটি। চীনের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, নিজের সীমানার মধ্যে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েনের অধিকার চীনের রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপ

ছয়টি দেশ দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে আসছে। তবে দ্বীপ গড়ে তোলা ও টহল জোরদার করার মাধ্যমে চীন তার বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে। 

সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেন, বেইজিংয়ের পদক্ষেপ দেশটির সীমান্ত লক্ষ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একই সম্মেলনে চীনের সামরিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হি লেই বলেন, অন্যান্য দেশের কাছ থেকে কোনও দায়িত্বহীন মন্তব্য কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।

জেনারেল হি আরও বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির অংশ হিসেবেই বেইজিং এই সেনা মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, তারা অন্য কোনও দেশের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়া ঠেকানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে।

চীনের সামরিক কর্মকর্তা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা আপনার নিজের এলাকা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেখানে সেনা মোতায়েন করতে পারেন আবার অস্ত্রও মোতায়েন করতে পারেন। জেনারেল হি বলেন, কোনও দেশ এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করলে আমরা তাকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো হিসেবেই দেখি।

সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দাবি করেন, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক স্থাপনা মোতায়েন করেছে। এরমধ্যে জাহাজরোধী ক্ষেপণাস্ত্র, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও বৈদ্যুতিক জ্যামারও রয়েছে। তিনি বলেন, চীনের ভিন্ন দাবি করলেও সরাসরি সামরিক কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে বলপ্রয়োগ ও হুমকি দেওয়ার জন্যই এসব অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাটিস বলেন, আমরা উন্মুক্ততার নীতি অবলম্বন করলেও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নীতি তার পুরো উল্টো। বিষয়টি চীনের সীমান্ত লক্ষ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

সমালোচনার পরও জেমস ম্যাটিস বলেন, যখন যে ধরনের সহায়তা দরকার তার মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে গঠনমূলক, ফলাফল নির্ভন সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।

দক্ষিণ চীন সাগরের এই জলসীমার মালিকানা নিয়ে কয়েকটি দেশের বিরোধ চলছে। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও চীনকে দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চল নিজেদের দাবি করে থাকে চীন। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি তা আন্তর্জাতিক সীমারেখার অন্তর্ভূক্ত।

/আরএ/
সম্পর্কিত
ন্যাটোর অংশীদার হতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা
কানাডার ইতিহাসে বৃহত্তম স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬
ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার, প্রয়োজন হবে না দূতাবাসে যাওয়ার
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন