২০২০ সালের শেষ নাগাদ উত্তর কোরিয়ায় বড় নিরস্ত্রীকরণ দেখতে পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের বহুল আলোচিত বৈঠকের ফলাফল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আলোচনার সময় এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। একটি চুক্তির জন্য এখনও কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে স্বাক্ষরিত নথিতে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট কেন করা হয়নি এমন প্রশ্নকে ‘বিব্রতকর’ ও ‘অদ্ভূত’ বলে উড়িয়ে দেন পম্পেও।
১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে সমঝোতার যৌথ ঘোষণায় কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়। বিবিসি জানিয়েছে, নথিতে পিয়ংইয়ং কখন ও কিভাবে অস্ত্র ত্যাগ করবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আলোচনার সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, একটি মহৎ চুক্তির জন্য এখনও কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তবে তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের নিরস্ত্রীকরণ...আমরা আশা করছি আড়াই বছরের মধ্যে অর্জন করতে পারবো।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালকের পদ সামলানো পম্পেও বলেন, পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের যথার্থতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম স্বাক্ষরিত নথিতে এই বিষয় সুনির্দিষ্ট কেন সুনির্দিষ্ট করা হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নকে করা হলে ‘বিব্রতকর’ ও ‘অদ্ভূত’ বলে মন্তব্য করেন পম্পেও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে আর পারমাণবিক হুমকি নয় বলে ঘোষণা করার পর এসব মন্তব্য করলেন পম্পেও। ট্রাম্প তার ঘোষণায় বলেছেন, সবাই আগের চেয়ে আরও বেশি নিরাপদ বোধ করতে পারেন।
এদিকে ট্রাম্প-কিমের বৈঠককে একটি বড় বিজয় বলে উদযাপন করছে উত্তর কোরিয়া।