X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্র প্রত্যাহার ও যোগাযোগ চালুর বিষয়ে আন্তঃকোরীয় সামরিক সংলাপ

বিদেশ ডেস্ক
২৫ জুন ২০১৮, ১৮:০১আপডেট : ২৫ জুন ২০১৮, ১৮:০৪

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের দিকে তাক করে রাখা অস্ত্র সরিয়ে নিতে এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে টেলিফোন ও ফ্যাক্স লাইন পুনরায় চালুর ব্যাপারে আলোচনা করেছে দেশ দুটির সামরিক বাহিনী। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান পুনর্মিলনের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। 

অস্ত্র প্রত্যাহার ও যোগাযোগ চালুর বিষয়ে আন্তঃকোরীয় সামরিক সংলাপ

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন বলেন, সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার মোতায়েন করা এক হাজার কামান সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। এসব কামানের বেশিরভাগই প্রায় আড়াই কোটি বাসিন্দার শহর সিউল লক্ষ্য করে মোতায়েন করা ছিল। বিপজ্জনক হওয়া সত্বেও শহরটির বাসিন্দারা এটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার অসামরিকীকৃত এলাকার ঠিক দক্ষিণের একটি শুল্ক, অভিবাসন ও পৃথকীকরণ অফিসে দুই কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। এক দশকের মধ্যে এটাই প্রথম আন্তঃকোরিয়া সামরিক সংলাপ। ‘কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের বিপদ দূর করা’র লক্ষ্যে আলোচনার ধারাবাহিকতায় এই বৈঠক করা হলো।

গত এপ্রিলে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো। তারা দুইজনই দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পুনরায় সরাসরি যোগাযোগ চালু করার কথাও বলেন।

এই বৈঠক সফল হলে ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে সহিংস সংঘর্ষ এড়াতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স মেশিন ব্যবহারের জন্য পশ্চিম ও পূর্ব লাইন আবারও চালু করা হবে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে ২০১৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ‘কায়েসং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স’ বন্ধ করে দেয়। দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানিগুলো সেখানে উত্তর কোরীয় শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে কাজ করাতো। ওই সময়ই পশ্চিম লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরীয় একটি দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার হামলায় দুই নৌ-সেনা ও দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর পূর্ব লাইনটি বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালে এক দাবানলে সংযোগটি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুটি লাইনই প্রায় ১৫ বছর আগে স্থাপন করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নৌবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পর আন্তঃকোরিয়া সামরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো। কিমের সঙ্গে বৈঠকে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির অনুযায়ী মহড়াটি স্থগিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র এখন কোরীয় যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের লাশ নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করছে। এজন্য ইতোমধ্যে ১০০টি কাঠের কফিন উত্তর কোরীয় সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, কোরীয় যুদ্ধের সময় তাদের ৭ হাজার ৭০০ সেনার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা সবাই ওই যুদ্ধে নিহত হয়েছে।  

১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে উভয় পক্ষের প্রায় ১২ লাখ সেনা নিহত হন। একই সময়ে নিহত হন প্রায় ১৬ লাখ বেসামরিক মানুষ। উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্মম বোমা হামলায়ই বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় পুরো উত্তর কোরিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।

/আরএ/
সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে সিরিজ ভূমিকম্প
আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো উত্তর কোরিয়া
সর্বশেষ খবর
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
তীব্র গরমে যেসব অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে
তীব্র গরমে যেসব অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে
চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
উপজেলা নির্বাচনচেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অপহরণের শিকার সেই প্রার্থী
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অপহরণের শিকার সেই প্রার্থী
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ