ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গ্রহণযোগ্য নয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটা বুঝতে পারছে, একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আরব-ইসরায়েল সংঘাতের সমাধান করবে না। মার্কিন প্রশাসনে অনেকেই বিষয়টি অনুধাবন করছেন। এমনটাই মন্তব্য করলেন ইসরায়েলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অফির আকুনিস। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টির এই নেতা বলেন, ইহুদিদের কেন্দ্রস্থল পশ্চিম তীরের সামারিয়া ও জুডেয়াতে একটি ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, একটি ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হচ্ছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য একটি আত্মহত্যার রেসিপি। আমরা আত্মহননের প্রতিজ্ঞা করছি না।
অফির আকুনিস বলেন, যারাই একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্বকে বিনাশ করতে চায় তারাই দুই রাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানাবে।
এদিকে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রধান রসদ সরবরাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। কারাম আবু সালেম নামের এই কমার্শিয়াল বর্ডার ক্রসিং দিয়ে কার্গোতে করে গাজার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হতো। ১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার এটি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আর এর পক্ষে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়, ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের অগ্নিসংযোগ ও অনুপ্রবেশের চেষ্টা। তেল আবিব বলছে, এমন কর্মকাণ্ডের বদলা বা প্রতিশোধ হিসেবেই রসদ সরবরাহ ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গাজা উপত্যকার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার জন্য বৈদেশিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে কারাম আবু সালেম নামের এই সীমান্ত ক্রসিংটি ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে ক্রসিংটি দিয়ে শুধু খাবার ও ঔষধের মতো মানবিক সামগ্রী সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে পোশাক ও নির্মাণ সামগ্রী প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না।
অতি প্রয়োজনীয় এ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপকে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ‘সামষ্টিক শাস্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। আর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এমন পদক্ষেপকে ‘গাজাবাসীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, বিবিসি, আল জাজিরা।