X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারির সিদ্ধান্তে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগ

বিদেশ ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৮, ০৮:৫৮আপডেট : ১৪ জুলাই ২০১৮, ০৯:০২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত সরকারের নজরদারি পরিকল্পনার বিষয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা ভারতকে একটি ‘সার্ভিলেন্স স্টেটে’ পরিণত করতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, হোয়াটস অ্যাপে আদান-প্রদান করা বার্তা নজরে মধ্যে রাখতে চায় কেন্দ্রের সরকার। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হওয়া আলোচনার বিষয়েও তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। নজরদারি প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে ভুয়া খবর ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের নজরদারির সিদ্ধান্তকে আদালতে  চ্যালেঞ্জ করেছেন তৃনমূল কংগ্রেসের একজন এমএলএ। তার আবেদনের ভিত্তিতে দেওয়া রায়েই আদালত সরকারি নজরদারি প্রকল্পের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গতকাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারির সিদ্ধান্তে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগ ভারতের ‘ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করার জন্য পৃথক সেন্টার স্থাপনে আগ্রহী। সেজন্য তারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে গত এপ্রিলে। এতে উপযুক্ত সফ্টওয়্যার সরবরাহের ও সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীদের মন্তব্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য লোক নিয়োগের শর্ত উল্লেখ করা হয়েছিল।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন তৃনমূল কংগ্রেসের এমএলএ মহুয়া মৈত্র। তার আবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করার জন্য প্রকল্প চালু করলে তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে। অথচ গত বছর আদালত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে রায় দিয়েছে। মহুয়া মনে করেন, হোয়াটস অ্যাপের বার্তার ওপর নজরদারি করার সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে গেলে নজরদারির আওতা থেকে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এমন কি ব্যক্তিগত ইমেইলও বাদ যাবে না।

আবেদনের শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রা, বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি  ডিআই চন্দ্রচূড়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে। বেঞ্চের একজন বিচারপতি মন্তব্য করছেন, ‘ট্র্যাকিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হলে তা আমাদেরকে নজরদারি রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে।’ আদালত সরকারকে ২ সপ্তাহের মধ্যে কারণ ব্যাখ্যা করার আদেশ দিয়েছে। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

/এএমএ/
সম্পর্কিত
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
ভারতের মণিপুরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক-সংখ্যালঘুরা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক