আফগানিস্তানে দীর্ঘদিনের যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, গত ছয় মাসে আফগানিস্তানে ১ হাজার ৬৯২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটেছে জঙ্গি হামলা ও আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা এটাই সর্বোচ্চ। ২০০৯ সাল থেকে জাতিসংঘ বেসামরিক নিহতের ঘটনা লিপিবদ্ধ করা শুরু করে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে হামলা হয়েছে। ওই হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। দেশটির গত কয়েক মাসের হামলার দায় স্বীকার করছে তালেবান ও আইএস।
আফগানিস্তানে কর্তব্যরত জাতিসংঘের সহযোগিতা মিশন এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছর নিহতের হার ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক আহতের ঘটনা ৫ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৩০। আর এক সঙ্গে নিহত ও আহতের ঘটনা কমেছে ৩ শতাংশ (৫১২২)।
মিশন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের অস্ত্রবিরতি চুক্তির পরও বেসামরিক নিহতের ঘটনা বেড়েছে।
এদিকে, জুলাই মাসের শুরুতে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো ব্রাসেলসে আফগান সংঘাত নিয়ে এক সম্মেলনে মিলিত হয়। ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ১৭ বছর ধরে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকা অব্যাহত রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মতি দিয়েছেন এবং একটি কৌশলগত পর্যালোচনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর আফগানিস্তানে তালেবানদের উৎখাতে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরমধ্য দিয়ে দেশটি এই দীর্ঘ সংঘাতের সূচনা হয়।