লিবিয়ার উপকূলে একটি লরি কন্টেইনার থেকে ১০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। তাদের সবাইকেই হিমশীতল কন্টেইনারে করে ইউরোপে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। সোমবার মোট ৯০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়, তাদের মধ্যে ১০ জনই বাংলাদেশি ছিলেন।
লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর এম মোজাম্মেল হক হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মোট ১০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ৫-৬ জন এখনও চিকিৎসাধীন। তবে কারও অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোজাম্মেল বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাদের শিগগিরই ত্রিপোলিতে নিয়ে আসা হবে।’ তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে আমরা ত্রিপোলি ত্যাগ করতে পারি না। বিকল্প পদ্ধতিতে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকার আর ইতালির সঙ্গে সীমান্ত থাকার সুযোগে বিপদজনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউইউরোপে প্রবেশ করতে এই উপকূল ব্যবহার করতে পছন্দ করে শরণার্থী ও অবৈধি অভিবাসন প্রার্থীরা। গত বছর এই পথ পাড়ি দিয়ে ইতালি ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থী পৌঁছেছে। এই পথ ব্যবহার করতে গিয়ে চলতি বছরের জুনের প্রথম দিকে তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবে নিহত হয় প্রায় ১১২ শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী। ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে নৌকাডুবে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়।
সোমবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই কন্টেনারে শ্বাসরোধ হয়ে আটজন নিহত হয়েছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৯০ জন অভিবাসীকে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে আফ্রিকা ও আরব দেশের নাগরিকের সংখ্যাই বেশি। তবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশিও রয়েছেন তাদের মধ্যে।